৪,৮০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার র্যাব-১৫।
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় কতিপয় মাদক কারবারী ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ২২.৪৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছা মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি উক্ত এলাকা থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে নবী হোসেন নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি তার নাম-ঠিকানা প্রকাশসহ নিজেকে মাদক কারবারী হিসেবে পরিচয় দেয় এবং তার সাথে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত মাদক কারবারীর দেহ ও সাথে থাকা পলিথিন ব্যাগ তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ৪,৮০০ (চার হাজার আটশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় নবী হোসেন (৩৬), পিতা-শাহ আলম, মাতা-জান্নাত আরা বেগম, সাং-রশিদার পাড়া, ০৩ নং ওয়ার্ড, লোহাগড়া ইউনিয়ন, থানা-লোহাগড়া, জেলা-চট্টগ্রাম বলে জানা যায়। এছাড়াও তার সাথে থাকা অপর এক সহযোগীর নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নবী হোসেন পলাতক মাদক কারবারীর সহায়তায় টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে ইয়াবা সংগ্রহপূর্বক কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে থাকে বলে স্বীকার করে।
৪। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে টেকনাফ থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।