আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ সদর -হোসেনপুর ১ আসনে মনোনয়নের জন্য মরিয়া একাধিক নেতা।
কিশোরগঞ্জ সদর -হোসেনপুর ১ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন।এই আসনে মুজিব নগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।এই আসনে স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ ঝিমিয়ে পরা অবস্থায় সততার ফুল সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হাল ধরেছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর পর ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলেও সৈয়দ আশরাফ তার আসনটি ধরে রেখেছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে নির্বাচনে আবার সৈয়দ আশরাফ নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী তে প্রতিটি নির্বাচনে জয়লাভ করেন সৈয়দ আশরাফ।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে আসনটি শুন্য হওয়ায় এই আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি কে মননোয়ন দেন।
বিগত চার বছরে ডাঃ সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি নেতাকর্মীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে দূরত্ব তৈরী হয় যা দলের জন্য খুবই অশনী সংকেত।
কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে এই আসনে পুনরায় আবার মনোনয়ন চান ডাঃ সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি।
এই আসন থেকে মনোনয়ন চান সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আপন ছোট ভাই সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম।আরো মনোনয়ন চান সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভ্রাস্পপুত্র এ্যাড.সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু,,মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক রাষ্ট্রপতিপুত্র রাসেল আহমেদ তুহিন ও মশিউর রহমান হুমায়ুন সাহেব।
জননেত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে “”এলাকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাকর্মীদের আমি বেচে নিবো যদিও তার ১ টাকা না থাকে””
এদিকে দিন যত যাচ্ছে তত নির্বাচনের আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে, ১১ টি ইউনিয়ন ও ৯৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা।১১টি ইউনিয়ন ও ৯৯ টি ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের পছন্দের নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু কে ঐক্যবদ্ধভাবে সদর উপজেলা ও হোসেনপুর উপজেলার অধিকাংশ নেতাকর্মীরা লিখিত নোটিশ পাঠান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তৃণমুলের প্রাণের দাবী হচ্ছে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু সাহেব যেনো নৌকার মাঝি হিসেবে কিশোরগঞ্জ সদর -হোসেনপুর ১ আসনে পাঠান এটি কিশোরগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবী।
কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু সাহেব রাজনীতি করতে গিয়ে ৪৫ বার হামলা মামলার স্বীকার হয়েছেন এবং ১/১১ তে সৈয়দ আশরাফের পাশে থেকে সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কিশোরগঞ্জে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন।
অর্থাৎ দলের দূঃসময়ে সৈয়দ আশরাফের পাশে থেকে নিজের জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করেছেন।এমন কি গত হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে যখন আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর করতে চেষ্টা করেন তখন তার শরীরে করোনা হওয়া স্বত্বেও নিজের জীবন কে পরোয়া না করে তিনি হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন পরবর্তীতে হেফাজতে ইসলাম পিছু হঠতে বাধ্য হন এবং দল কে বাচান।
অর্থাৎ তাঁর মাঝে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতিচ্ছবি ফুট উঠে এবং তিনি দলের একজন নিবেদিত প্রাণ।
হাজার হাজার সাধারণ জনগণ মনে করেন এই আসনের জৌলস ফেরাতে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু সাহেবের বিকল্প নাই অর্থাৎ সাধারণ আমজনতা তাকেই এমপি হিসেবে চায়।
দৈনিক প্রচেষ্টা নিউজের সদর প্রতিনিধি ১১টি ইউনিয়নের ১১ জন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন আমরা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল কর্মীরা বেচে নিয়েছি যে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু কে আমরা এমপি হিসেবে দেখতে চাই এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন যেনো তাকে মনোনয়ন দেন।
তাহলে আমাদের কিশোরগঞ্জ -হোসেনপুর ১ আসনের জৌলস ফিরবে বলে মনে করেন তৃণমূল আওয়ামী লীগ।