রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ভারতের ‘ভূখণ্ড’ নিয়ে নতুন শহর ঘোষণা চীনের, নয়াদিল্লির প্রতিবাদ।

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫

ভারতের ‘ভূখণ্ড’ নিয়ে নতুন শহর ঘোষণা চীনের, নয়াদিল্লির প্রতিবাদ।

ভারত-চীন সম্পর্কে ফের উত্তেজনা। এশিয়া মহাদেশের বৃহৎ দুই রাষ্ট্র ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব। বিশেষ করে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল লাদাখের একটি বড় অংশ নিজেদের বলে দাবি করে চীন। চীন একাধিকবার এসব অঞ্চলকে তাদের মানচিত্রেও যুক্ত করেছে। বিভিন্ন সময়ে অঞ্চলের বড় অংশ দখলও করেছে। এ অঞ্চলের দখল নিয়ে দুদেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বহুবার।

এবার ভারত সীমান্তবর্তী চীনের উত্তর-পশ্চিমের শিনজিয়াং প্রদেশে দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল (কাউন্টি) ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। বেইজিংয়ের ঘোষিত কাউন্টির কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের মধ্যে পড়েছে দাবি করে এর আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া উত্তর-পশ্চিম চীনের শিনজিয়াংয়ে এই দুটি কাউন্টি প্রতিষ্ঠার কথা জানায়।

তাদের খবরে বলা হয়, শিনজিয়াংয়ের সরকার হোটান প্রিফেকচারের অধীনে হে’আন কাউন্টি এবং হেকাং কাউন্টি নামে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাষ্ট্র পরিষদ এই দুটি নতুন কাউন্টি অনুমোদন করেছে, যা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে পরিচালিত হবে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানাচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, এই তথাকথিত কাউন্টির কিছু অংশ লাদাখের ভেতরে পড়ে এবং ভারত কখনই এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারিকে স্বীকৃতি দেয়নি।

তিনি বলেন, আমরা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেখেছি। তথাকথিত এই কাউন্টিগুলোর কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের ভেতরে পড়ে। আমরা কখনো এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারি স্বীকার করিনি।

রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, নতুন কাউন্টি তৈরির বিষয়টি এই এলাকায় ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের ও ধারাবাহিক অবস্থানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। চীনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলকে ভারত বৈধতা দেবে না। আমরা চীনা পক্ষের কাছে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি।

সম্প্রতি দীর্ঘদিনের আলোচনার পরে ভারত ও চীনের মধ্যে একটি সীমান্ত জটিলতার সমাধান হয়। ফলস্বরূপ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুদেশই নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু, সবশেষ এমন ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়টি আবারও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102