দক্ষিনাঞ্চলের রাজনীতি এখন থমথমে বিরাজমান।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর তাকিয়ে আছে মফস্বলের দলের নেতারা।তবে মাঠ গুছাচ্ছে যে যার মত।
ঝালকাঠির ১ও ২ আসনে এমপি প্রার্থী দলের লবিং ও গ্রুপিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা থমথমে বিরাজমান। অনেকেই মূখ খুলছেন না।রাজনৈতিক মোর ঘুরে ফিরে যদি সেদিকে তাকিয়ে আছে দলের নীতি নির্ধারক।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই জল্পনা কল্পনা চলছে। কে কোন আসনে নমিনেশন পাইবে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থন বাড়ছে দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি পাইছে।
ঝালকাঠির চেয়ে রাজাপুরের প্রার্থী বেশি দেখা যাচ্ছে। জেলায় আসন ভাগাভাগি নিয়ে বর্তমানে টক অব দি ঝালকাঠিতে পরিনত হচ্ছে। নেতাভিত্তিক কমিটি হচ্ছে। কার কাছে বেশি সমর্থন বাড়ছে সেদিকেও লক্ষ করছে দল।
সুষ্ঠ স্বাভাবিক ভোটের অধিকার ফিরে পাইতে থমথমে পরিবেশ মাঠে ইমেজ গঠনে ভূমিকা পালন করছে দুই দলের মধ্যেই বেশি।
সারাদেশের দল যেন বাংলাদেশের দুটি রাজনৈতিক দলের শুভবুদ্ধি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থন বাড়াতে রোড মার্চ সহ সভা সেমিনার লক্ষনীয়।
তারই ধারাবাহিকতায় গঠিত ঝালকাঠির ১ ও ২ আসনের কলকাঠি নাড়েন দুই নেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি ও বীর উত্তম শাজাহান ওমর।
আওয়ামী লীগের পক্ষে একটু বাতাসও নড়েনা এদের ইশারা ছাড়া।গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক গুরু এ দুজনই ঝালকাঠির জন্য রাজনীতি দর্শন পলিটিক্যাল শিক্ষা দিয়ে আসছেন।
এলাকায় নমিনেশন পেতে জনসংযোগ ভূমিকা দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের পক্ষে বর্তমান এমপি বিএইচ হারুন, সাবেক ডিসি মোহাম্মদ ইসমাইল, তরুন রাজনৈতিক বিশ্লেষক টিভি টকশো মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মনিরুজ্জামান মনির, স্টামফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর চেয়ারম্যান প্রয়াত হান্নান ফিরোজ এর সহ ধর্মীনি ফাতিনাজ ফিরোজ।
বিএনপি দলে নমিনেশনে এগিয়ে ব্যারিষ্টার এম শাজাহান ওমর বীর উত্তম, তাহার পাশে আছে রফিকুল ইসলাম জামাল সহ কিছু নেতারা।তবে রাজাপুর কাঁঠালিয়া আসনের এমপি প্রার্থী বিএনপির কম দেখা যাচ্ছে। আওয়ামি লীগকে বিজয়ী করতে আগ্রহী ৫ জন এমপি প্রার্থী মাঠ দখলে রাখছে।
রাজাপুর কাঁঠালিয়া আসনের সাংসদ নির্বাচন এমপি প্রার্থী মাঠে আওয়ামী লীগই মাঠ কাঁপাচ্ছে।
জাতীয় পার্টি, চরমোনাই পীর সাহেবের প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে না।
জোট গঠনের পরই দলীয় জোটের মাধ্যমে রাজনীতি সরগড়ম হবে এবং মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যও পাইবে বলে উক্ত দলের দাবী। চরমোনাই পীর ও বিএনপির দাবী এক দফার আন্দোলন চলছে। যার কারনে দলের পক্ষে নির্বাচন করবে কি করবে না এরজন্যই প্রার্থী দিচ্ছে না তাহারা।সুষ্ঠ ধারার রাজনীতি করছে এ দলের নেতারা।ডান পন্থা রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে মাঠে ময়দানে ব্যস্ত সময় পার করছে।নির্বাচন করবে কিনা এখনও সঠিক নয় বিএনপি। যার কারনে প্রার্থী কম মাঠে।সময় হলে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
দলের হাই কমান্ট জরিপ করছে কে কোন আসনে নমিনেশন যোগ্য হবেন।তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির ঘাটি খ্যাত রাজাপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংখ্যা বেশি করা হচ্ছে রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায়। এখানে বিএনপির সমর্থন বেশি সেখানে আওয়ামী লীগের কর্মী উপস্থিত বেশিতে তৈরি করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মেরুকরনে এ বছর রাজাপুর উপজেলার জন্য সদয দয়ার আসনে পরিনত করলে নতুন মূখের গুঞ্জন বেশি।
যদি শাজাহান ওমর রাজাপুর কাঁঠালিয়া আসন ছাড়েন তবে নতুন মূখ রফিকুল ইসলাম জামাল। আর বিএইচ হারুন এমপি প্রার্থী না হলে নতুন মূখ মনিরুজ্জামান মনির হতে পারেন বলে একাধীক সূত্রে উল্লেখিত মাঠ দখলের রিপোর্টে।
কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর উত্তম শাজাহান ওমর এর কারনে বিএনপির ঘাটিতে পরিনত হয়েছে রাজাপুর কাঁঠালিয়া আসনে।
কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপির কারনেও ঝালকাঠিতে দলীয় সমর্থন বাড়ছে।
দলীয় লবিং গ্রুপিংয়ের শুরু হবে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে। কোন দিকে যাচ্ছে রাজনৈতিক মোর, সেদিকে তাকিয়ে আছে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের রাজনীতিবীদ।
যদিও বার বার সংসদ সদস্যরা আসন ধরে রাখার চেষ্ট করছে।
যদি দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি সঠিকভাবে দলের জরিপে
করা হয তবে পুরানো এমপি বাদ দিয়ে নতুন মূখ হতে পারে।
তবে টাকার কাছে রাজনীতি বন্ধী হচ্ছে নমিনেশন। যার কোটি টাকা আছে সেই পাইতে পারে এমপি প্রার্থীর নমিনেশন।তবে এবছর ভিন্ন এক রকমের তৃতীয় শক্তির দিকে ঝুঁকছে কিনা সেদিকে খেয়াল রেখে রাজনীতি করছে দুটি দলের নেতারা।