জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, “প্রতিবেশী বদলানো যায় না। আমরা ভারতের কাছে বন্ধুত্বে বিশ্বাসী, শত্রুতায় নয়। ভারতের দাদাগিরি ও মিথ্যা গুজব বাংলাদেশের মানুষ পছন্দ করে না। যদি গৌর গোবিন্দে রূপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ হযরত শাহজালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ভারতের আধিপত্যবাদ রুখে দেবে।”
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ঐতিহাসিক পুরাতন গুলদি ময়দানে আয়োজিত এক মাহফিলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. আজহারী আরও বলেন, “বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এ দেশে পূজা-পার্বণে মাদরাসার ছাত্ররা মন্দির পাহারা দেয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যার পর গোটা বাংলাদেশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঐক্য হচ্ছে দেশ ও জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতির ভিত্তি। বিগত ৫০ বছর নিজেরা বিরোধে লিপ্ত হয়ে এই দেশটাকে শেষ করে দিয়েছি। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জাতি হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। আমাদের প্রভু এক, আমরা এক উম্মাহ, আমরা এক উৎস থেকে এসেছি। সুতরাং ভিন্ন ভিন্ন বিভক্তি ও মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও দেশের স্বার্থে আমাদের এক থাকতে হবে। আমাদের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্র জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রুখে দিতে হবে।”
মাহফিলে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও দেশের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি আসেনি। একমাত্র আল কোরআনই এই জাতিকে মুক্তি প্রদান করতে সক্ষম।”
পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদ ও মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ৮ম তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন শায়খ মুফতি কাজী ইব্রাহিম, মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমিন, আল্লামা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, মাওলানা আবদুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আজহারী এবং জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ আল ফারুক। মাহফিলের পূর্বে, প্রায় ৬ লাখ মুসল্লির উপস্থিতিতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।