সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ‘এটি সাধারণ কোনো দুর্ঘটনা নয়।’
বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়কদের সঙ্গে সাক্ষাতে গিয়ে সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ অগ্নিকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ও সরকারের প্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিসগুলো পুড়ে ছাই হয়েছে। সাধারণত যারা ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করছে তারা সরকারের প্রতিনিধি হয়ে যখন হাসিনা ও তার দালালদের অপকর্মের ফাইলগুলো নিয়ে বিচারের জন্য সংরক্ষণ ও তদন্ত করছে, ঠিক তখনই পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাদের অফিস জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে বিপ্লবী ভূমিকা থাকা উচিত ছিল আমরা এখন পর্যন্ত সেটি করতে পারিনি। আমরা আসলে বেশি ভালো সাজতে গিয়েছি। সুশীল হতে গিয়ে সুযোগ দিতে গিয়েছি। কিন্তু যাদের রক্তে দালালি, যাদের রক্তে দাসত্ব, যারা এত বছরের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আপনি যেই সুযোগ দেন কোনো লাভ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, আমাদের যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিনিধি রয়েছেন, আমরা যারা রাজপথে রয়েছি আমাদের এখন সময় এসেছে এই বিপ্লবকে ধারণ করে বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার।’
এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। এগুলোকে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে না পারি তাহলে এই বাংলাদেশে ওই খুনিদের আবার পদচারণা দেখা যাবে।’
সচিবালয়ের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃশ্যমান বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন এই সমন্বয়ক।