নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা জসীম উদদীন মওদুুদের রোডমার্চের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বিএনপির ১০ নেতাকর্মি আহত হয় এবং ২০টি গাড়ি ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বসুরহাট নতুন বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।
কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মি মো.শুভ (১৯) ও শাহীন (১৮) সহ ১০জন নেতাকর্মি আহত হয়। আহত ২জন কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। অপর আহত নেতাকর্মিরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির ৫শতাধিক নেতাকর্মি রোডমার্চে যোগ দেওয়ার জন্য গাড়ি বহর নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফেনীর রোডমার্চে যোগ দেওয়ার জন্য গাড়ি বহর নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের মানিপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ফেনীর অভিমুখে যাত্রা করে হাসনা জসীম উদদীন মওদুুদ। যাত্রা পথে গাড়ি বহরটি বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁঁছলে সরকার দলের নেতাকর্মিরা বিএনপির গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১০জন নেতাকর্মি আহত হয়। ভাংচুর করা হয় ৪টি বাস ও ১৬টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা। হাসনা মওদুদেরর গাড়ি বাস টার্মিনাল অতিক্রম করার সাথে সাথেই গাড়ি বহরের পিছনের দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা জসীম উদদীন মওদুুদ বলেন, আমি শান্তিপূর্ভ ভাবে বিএনপির নেতাকর্মিদের নিয়ে গাড়ি বহর নিয়ে রোডমার্চে যাচ্ছিলাম। আমার গাড়ি বাস টার্মিনাল অতিক্রম করার পর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মিরা শান্তিপূর্ণ গাড়ি বহরে হামলা করে গাড়ি বহরটি ছত্রবঙ্গ করে দেয়। ওই সময় গাড়ি ভাংচুর করে নেতাকর্মিদের আহত করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
রোডমার্চের গাড়ি বহরে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, বিএনপির রোডমার্চে হামলার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।