মিয়ানমারের কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) সশস্ত্র শাখা ও তাদের মিত্ররা ৩৫ বছর পর থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মডং শহর দখলে নিতে পেরেছে বলে দাবি জান্তাবিরোধী যোদ্ধাদের।
সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) কারেন বিদ্রোহীরা তানিনথারি অঞ্চলের শহরটি পুরোপুরি কব্জায় নেয়। পাহাড়ি এ শহরটি সিংখন পাস সীমান্তে অবস্থিত, এর পাশেই থাইল্যান্ডের প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশ। মডং একসমময় কেএনইউ-র মাইয়িক জেলার সদরদপ্তর ছিল, ১৯৯০ সালে এটি জান্তার দখলে চলে যায়।
শহরটি দখলে নিতে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও তাদের মিত্ররা চারদিন আগে শহরটি দখলে অভিযানে নামে এবং শুক্রবার সকালে জান্তাবাহিনীর শেষ সৈন্যকে থাইল্যান্ড অংশে পালাতে বাধ্য করে।ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেএনএলএ-র চতুর্থ ব্রিগেডের এক যোদ্ধা বলেছেন ‘এখন আমি যা বলতে পারি, সেটা হল পুরো শহরই আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ কেএনইউ-র মাইয়িক জেলার সম্পাদক স এনা দো বলছেন, ‘মডং সীমান্ত বাণিজ্যর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এর কৌশলগত গুরুত্বও অনেক।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেএনএলএ দুটি সামরিক চৌকি ও একটি সরকারি প্রশাসনিক কার্যালয় দখলে নিয়েছে। আনুমানিক ৬০ জান্তা সেনা থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।’
নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টায় জান্তা বাহিনী ওয়াই-১২ উড়োজাহাজ দিয়ে বোমা হামলা চালালে বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।সংঘর্ষের মধ্যে শহরটির হাজারখানেক বাসিন্দা পালিয়ে কাছাকাছি গ্রামগুলোতে আশ্রয় নেয় বলে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিতে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন।মডং পুনর্দখলের ফলে কেএনইউ এখন থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে শুরু করে থেইনকুন গ্রাম পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার রাস্তা পুরোপুরি নিজেদের কব্জায় পেল।তানিনথারি শহর থেকে থেইনকুনে যাওয়ার প্রধান সড়ক কেএনএলএ আটকে রাখায় জান্তা প্রায় দুই বছর ধরেই ওই এলাকায় ঢুকতে পারছে না, বলেছেন এক পক্ষত্যাগী।