শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

নেই শিক্ষা,অবৈধভাবে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ ; ৩ বছর পর নিয়োগ বাতিল

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

বাগেরহাট সদরের হাকিমপুর শামসুল হুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম-নীতি না মেনে অবৈধভাবে শুণ্যপদে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের খানপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক শেখ আনিছুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর সে পলাতক থাকায় তার নিয়োগ প্রক্রিয়া যাচাই বাছাই করে দেখা যায়, তার নিয়োগ হয়েছে অবৈধভাবে। গত ১৩/০৫/২০২৫ তারিখে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভা করে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক ও হাকিমপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী শেখের ছেলে শেখ আনিছুর রহমান তৎকালীন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লিটন শিকদারকে ম্যানেজ করে উক্ত পদে অবৈধভাবে নিয়োগ পায়।

বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস উক্ত পদের জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ থাকলে যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের না নিয়ে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাস এই প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের পর তার বেতন বিল এমপিওভুক্তির জন্য যতবার প্রেরণ করা হয়েছে অবৈধ নিয়োগ উল্লেখ করে তা’ বাতিল করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবার জন্য সে ক্ষমতার দাপট দেখাতে শুরু করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের অমান্য করে এবং তাদের সাথে যখন তখন বাজে ব্যবহার করেন। শিক্ষক- কর্মচারীদের বিভিন্ন কাজ করার জন্য সে নির্দেশ দেয়। এমনকি বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথেও অশোভন আচারণ করতো। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি’র নিজের লোক হওয়ায় এলাকাবাসী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, এমনকি শিক্ষকরাও তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনি। যারা কথা বলতে চেয়েছে, তারাই উল্টে পড়েছে চাপে। অপর দিকে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হওয়ায় এলাকাবাসীর সাথে বিভিন্ন খারাপ আচারণ করতো।

গত ৩৬ জুলাই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক যোগদান করেন। তিনি ও বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ মো: আবুল কাশেম শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারেন এটি নিয়োগ অবৈধ এবং দ্রুত নিয়োগ বাতিল করার পরামর্শ দেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।

বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ মো: আবুল কাশেম জানান, ” নিয়োগ বিধি বহির্ভুতভাবে তার নিয়োগ হয়েছে। এই নিয়োগে তার বেতন বিলও হবে না। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। নিয়োগ বাতিলের আগে তাকে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও সে সাড়া দেয়নি।”

এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক- কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিগত ৩ বছরে তার দ্বারা নির্যাতিত হওযার কথা বর্ণনা করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102