ফতেপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সাবিত্রী সরদার (৮৫ ) তার প্রতিবন্ধী মেয়ে সবিতা সদ্দার(৬০) এবং মেয়ের প্রতিবন্ধী ছেলে পরিক্রম সরদার(১৭) এক শতক জমির উপর নির্মিত একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করতেন। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে ধীরে ধীরে সাবিত্রী সর্দারের ঘরের ভগ্ন দশায় থাকা চারিপাশের দেয়াল গুলো পড়ে যায়। ফলে গৃহহীন হয়ে যায় সাবিত্রী সরদার। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণ বাড়িটি নির্মাণের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শ কাতর হওয়ায় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী শ্যামল কুমার মন্ডল, কলেজ শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায় এবং সমাজকর্মী বিশ্বজিৎ মন্ডলের সহায়তায় দায়িত্বে থাকা সহকারী ভূমি কমিশনার অমিত কুমার বিশ্বাস এবং কালীগঞ্জ উপজেলার সুযোগ্য থানা নির্বাহী অফিসার অনুজা মণ্ডলেকে অবহিত করা হয় ।
খবর পেয়ে অনুজা মণ্ডল এবং অমিত কুমার বিশ্বাস দুজনেই ছুটে আসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে। বিষয়টি দেখে তারা বিধাতার দেওয়া এই পৃথিবীতে মানুষ যে এত কষ্টে বসবাস করতে পারে তার একটি নির্মম চিত্র দেখতে পান।
অমিত কুমার বিশ্বাস পূর্বে আর্থিক সহায়তা দিলেও বদলিজনিত কারণে আজ উপস্থিত না থাকতে পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন । তবে এলাকাবাসী অমিত কুমার বিশ্বাস এবং অনুজা মন্ডলের এ ধরনের সহানুভূতিকে এক অকল্পনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।