মোঃ আক্তার হোসেন//সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার থেকে টেটিয়ার চর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার শংকরের দাসের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) রাতে জাউয়া বাজার থেকে টেটিয়ার চর পর্যন্ত রাস্তার চলমান সংস্কার কাজে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মতিউর রহমান,
আব্দুল হাই,সাইদুল হক সবজিল,সমুজ আলী,
কদরিছ মিয়া,জুবায়ের আহমদ,ছৈইল মিয়া,৭নং ওয়ার্ড সদস্য হুসিয়ার আলী,ওমর আলী,আমির হোসেন আলী ও অন্যান্য স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়,জাউয়া বাজার থেকে টেটিয়ার চর পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের কাজ পান ঠিকাদার শংকর দাস। ৪কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কটিতে পিচ ঢালাইয়ের কাজে, রাতের আধাঁরে ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছেন।সড়কের কোথাও এক ইঞ্চি বা দেড় ইঞ্চি পরিমাণের পিচ দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ চলছে।দিনের বেলায় কিছু উন্নত বিটুমিন জনগণকে প্রদর্শনী দেখিয়ে,রাতে বেলায় নিম্মমানের বিটুমিন ও সরঞ্জামাদি দিয়ে রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে।
সড়কে সাধারণত ৬০/৭০ গ্রেডের উন্নতমানের বিটুমিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও তা অমান্য করে ঠিকাদার ব্যবহার করছেন,নিম্নমানের
বিটুমিন,ইট-বালু ও পাথর।দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই রাস্তাটি ব্যবহারে জনগণের
ভোগান্তি ছিল চরমে।এখন আবার সংস্কারের নামে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।এতে করে সংস্কারের কয়েক মাসের মধ্যে আবারও রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।রাস্তার সংস্কারের কাজে এমন অনিয়মের কারণে স্থানীয়দের মাঝেও দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
চরমহল্লা ইউ/পি আওয়ামীলীগের সভাপতি
মতিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন,রাস্তায় পিচ ঢালাইয়ের কাজে প্রয়োজন মতো বিটুমিন না দেয়া ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন ঠিকাদার শংকর দাস।তিনি বাড়তি লাভ করার জন্য নিন্মমানের কাজ করছেন।রাস্তায় এসব নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করে উন্নতমানের সরঞ্জামাদি দিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজ পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ঠিকাদার শংকর দাসের মুঠোফানে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এলজিইডি ছাতকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম এ জাফির কাছে এ বিষয়ে জানতে তিনি বলেন,
অভিযোগ ভিত্তিতে আমি সরেজমিনে এসে স্থানীয়
লোকদের আশ্বস্ত করেছি,উন্নতমানের নির্মাণ
সামগ্রী ব্যবহার করে সংস্কার চলবে।ইতোমধ্যে ৩ কি.মি.রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ছাতক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবিরের সাথে রাস্তা সংস্কারের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রাস্তার সংস্কার কাজে অনিয়মের বিষয়টি তিনি জেনেছেন।ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।