মো: আক্তার হোসেন, সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে আদা চাষীদের প্রকল্পের টাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খানের পেটে এমন অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে হলুদ চাষে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছিল।
জানা যায়, বিদেশ থেকে মসলা আমদানীতে উৎসাহ না দিয়ে নিজ দেশের কৃষকদের সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে এবং বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তিপেতে স্থানীয় কৃষকদের দেশেই মসলা উৎপাদনে আগ্রহী করে গড়ে তোলতে মসলা চাষের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে এসব মসলা চাষের প্রকল্প বাস্তবায়ন আলোর মুখ দেখেনি। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল, মসলা বীজ উৎপাদন বিতরন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রাসনগর
গ্রামের পরিমল সিংহ সহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ১০জন কৃষকের মধ্যে আদা চাষের জন্য সরকারী ভাবে উপজেলা কৃষি অফিস হতে বরাদ্দ হয় প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার টাকারও বেশী। কিন্ত অভিযোগ উঠেছে পরিমল সিংহ সহ ১০ জন কৃষককে ১হাজার আদার চারা ও ৩০ কেজি ওজনের ৬ বস্তা সার বিতরন করা হয় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে। এ প্রকল্পের বাকী সম্পূর্ন টাকাই অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে আত্মসাত করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান।এ বিষয়ে আদা চাষী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পরিমল সিংহ জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে কিছু আদার চারা আর কিছূ সার দিলে আমরা ২০ জনে ভাগা করে নিয়ে রূপন করেছি। এই গুলি তেমন ফলন হয়নি। ইসলামপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনামুল ইসলাম পারভেজ জানান, আমরা রংপুর হতে আদার চারা সংগ্রহ করে কৃষকদের বিতরণ করেছি।
বরাদ্দের বিষয়টি অফিস কর্তৃপক্ষ জানেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান জানান, গত জুন মানের শেষের দিকে বরাদ্দ এসেছিল। পর পর ৪বার বন্যার কারনে আংশিক বিতরন করা হয়েছে। এর মধ্যে যেগুলো বিতরন করা হয়েছে বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। বরাদ্দের অবশিষ্টা টাকা অফিস ফান্ডে রয়েছে।চলতি মৌসুনের শুরুতে প্রদর্শনী করা হবে।
এএসবিডি/আরএইচএস