আগামী ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠান। যেখানে অংশগ্রহনের জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়েছে প্রভাবশালী বিশ্বনেতা ও ব্যক্তিদের। প্রেসিডেন্ট শপথ অনুষ্ঠানে মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে।
তবে এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের এই অনুষ্ঠানের জন্য দাওয়াত পাননি দক্ষিণ এশিয়ার কোনো রাষ্ট্রপ্রধান। যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশের দায়িত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাই দাওয়াত না পাওয়াটাই বাংলাদেশের জন্য স্বাভাবিক।
অন্যদিকে ভারতের মোদি প্রশাসন সবসময়ই ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিজেদের নিবিড় সম্পর্কের ঢাক বাজালেও, এখন পর্যন্ত কোনো আমন্ত্রনপত্র জোগাড় করতে পারেনি তাদের নেতা মোদির জন্য।
ভারত কিংবা মোদির কেউ এখন পর্যন্ত আমন্ত্রন না পাওয়ায় বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে কানাঘুষা। তাহলে কি এতদিনের সুসম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে ট্রাম্প-মোদি কিংবা যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের।
খোদ ভারতেই বিপক্ষ দলের অনেক নেতাই বলছেন, মোদি কিংবা ভারতকে আর আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেনা মার্কিন মুলুকের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান। যেখানে বর্তমান সময়ের নিজেদের সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রন জানিয়েছে দেশটি, সেখানে নিজেদেরকে মিত্র দাবি করা মোদি কিভাবে উপেক্ষিত থাকেন।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরেও আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। অনেকের ধারনা শপথ অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রনপত্র সংগ্রহের জন্যই ছিল তার সেই সফর।
আর সেই বিষয় নিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপিরই রাজ্যসভার সাবেক সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লিখেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে আমেরিকা পাঠাচ্ছেন ওই আমন্ত্রণটি জোগাড় করে আনতে!
ট্রাম্পের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে তাদের নিমন্ত্রনপত্র শেষের পথে। তাই এখন ধারনা করা হচ্ছে তাহলে কি ট্রাম্পের সাথে ভারতের মধুচন্দ্রিমার সুসময় ফুরিয়ে গেছে। নাকি আমেরিকানরা বুঝে গেছেন ভারতকে এখন আর তাদের কোনো প্রয়োজন নেই।
যদিও এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছেনা, তবে মোদির এই আমন্ত্রন না পাওয়াকে ধারনা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারত এতদিন যে সুসম্পর্কের ঝাণ্ডা উড়াতো সেটির পালের হাওয়া হয়তো অন্য দিকে ঘুরে যাচ্ছে মার্কিনীদের পক্ষ থেকে।