সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তিত্ব ও হবিগঞ্জ -৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন রাত ১টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ খবর ব্যারিস্টার সুমন নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি লেখেন, ‘আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর মডেল থানা ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে সেখানে আপাতত কোনো আসামিকে রাখা যাচ্ছে না। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে আপাতত পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মিরপুর এবং আদাবরের দুটি মামলার আসামি হিসেবে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনের সময় মিরপুর মডেল থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কারণে সেখানে আসামি রাখার মতো আপাতত জায়গা নেই। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।’
প্রায়ই বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যু নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলতেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। গ্রেপ্তারের পূর্বে সোমবার দিনগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
সেখানে তিনি বলেন, ‘প্রথমেই জানাতে চাই আমি দেশেই রয়েছি। ঢাকা শহরেই আছি। ৫ আগস্টের পর আমি কোথাও যায়নি। শুধু নিরাপত্তার কারণে আমি গোপনে ছিলাম।’
সুমন বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে, তুমি বিদেশে চলে যাও। কিন্তু আমি যাইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমি কোনো দিন দুর্নীতি করিনি। ঢাকা শহরে আমার কোনো প্লট ও ফ্লাট নেই। তারপরও কেন আমি দেশ ছেড়ে যাব।’
আরও বলেন, ‘আমার নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। যেহেতু আমি আইনজীবী, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে।’
ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ এবং আলোচিত আইনজীবী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন।
গত জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুমন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং সরকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন।