রাজধানীতে সমাবেশ করবে জামায়াত।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীতে প্রথমবারের মতো সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী ২৮ অক্টোবর দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর চারদলীয় জোট সরকারের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্ধারিত দিন ছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ওই দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করে। জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালায় এবং লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে মৃত মানুষের সঙ্গে পৈশাচিক আচরণ করে। এতে শাহাদাত বরণ করেন জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের অসংখ্য ভাই।
তিনি আরও বলেন, সেদিন দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাসে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়। নৈরাজ্য, লুটপাটে হাজার হাজার মানুষ ও পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৮ অক্টোবর থেকে আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশের জনগণের ওপর সওয়ার হওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ, বাকরুদ্ধ ছিল মানুষ, গুম-খুন ও আয়নাঘর ছিল বিরোধীদল এবং ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার। প্রতিহিংসার রাজনীতি ও বানোয়াট মামলা সাজিয়ে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের। চালু করা হয় ভোট ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠনের বাকশালী সংস্কৃতি।
আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ ও বাকশালী চরিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং শাহাদাতের চেতনা শানিত করার লক্ষ্য সামনে রেখে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
এদিকে জামায়াতের ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার সুমন গণমাধ্যমকে জানান, তারা ঢাকায় একটি সমাবেশ করবেন। তবে সমাবেশের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি জানান, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা এবং লগি-বৈঠা দিয়ে নৃসংশভাবে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশটি হতে পারে।