মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসে ইন্ধনে চুরি : পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসে দিন দিন রাতবাহিনীর মত কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের উপর রাতরাতি টেবিল চেয়ার বেঞ্চ চুরি করে আর্থিকভাবে ক্ষতিসাধন করে আসছে এলাকার এক কিছু শ্রেণীর অজ্ঞাতনামা চোর ছিনতাইকারী চক্র। যার মধ্যে অনেকেই চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসেই বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছে। অথচ সদর সাব রেজিস্ট্রীর মত জায়গায় কোন পাহারাদার নেই।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দায়িত্ববান মান্যবর জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার সেই ডিজিটাল কার্যক্রম হিসেবে কম্পিউটার দলিল লেখা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসসহ আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগরে, যা জনগণের কাছে সুনামের সুবাতাস। এছাড়াও ভবিষ্যতেও ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় তৈরী হয়েছে সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিস। কিন্তু অফিস প্রাঙ্গণেই ৪/৫টা কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা হিংসার বশবর্তী হয়ে ডিজিটাল কার্যক্রম কমিয়ে ও আমার ব্যবসায় ক্ষতি করার মানসে তাদের ইন্ধনে কে বা কারা আমার দোকানের কম্পিউটার টেবিল, চেয়ার ও বেঞ্চ চুরি করেছে বলে আমার আত্মিক ধারণা।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসে থাকা গরীব অসহায় ফরজ আলীর ছোট একটি টোং মুদির দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই একই চক্রই এই চুরির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে নাম না প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রদানমন্ত্রীর ডিজিটাল দেশ গড়ার স্বপ্নে ডিজিটাল কার্যক্রমকে চালু করতে ও পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে এবং সৎপথে ইনকাম করার মানসে সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিক জনি আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল স্বপ্ন পূরণে প্রতি সপ্তাহে রোববার ও সোমবার কম্পিউটারে দলিল লেখার কাজ করে চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসে। ব্যবসা অল্পসময়ে ভালো প্রসার হয়ে যাওয়া দেখে অফিস প্রাঙ্গণেই কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের হিংসার বশবর্তী জন্মনিয়ে এমন চুরি হতে পারে বলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে মন্তব্য করেছেন কনেকেই।
এদিকে, কম্পিউটারে চুুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসে ১০০% ডিজিটাল কার্যক্রম বাস্তবায়ন হিসেবে কম্পিউটারে দলিল লেখার কার্যক্রম চালু করেছেন মান্যবর জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার; এতে জমি ক্রেতা বিক্রেতারাও অনেক খুশি হচ্ছে। কিন্তু ওই অফিসে কিছু কিছু মানুষের চেয়ার টেবিল খোলা অবস্থায় থাকলেও আমার কম্পিউটার টেবিল, চেয়ার ও বেঞ্চ কেনো চুরি হলো এর জবাব হিসেবে অফিস প্রাঙ্গণেই ৪/৫ জনের মত কম্পিউটার কোন ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোন এক ব্যবসায়ীর ইন্ধনে অফিসেরই কিছু কৌশলী চোর চক্রকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে ঠিক করে রাতে সাংবাদিক জনি আহমেদের কম্পিউটার টেবিল, চেয়ার ও বেঞ্চ চুরি করিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না বলার শর্তে অনেকেই বলেছেন।
যদি ওই ছিঁচকা চোরু চক্রকে আইনগতভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া না যায় একজন চোর, ছিনতাইকারীর কাছে পুলিশের মান জনগণের কাছে এতটাই ক্ষুন্ন হবে এবং নতুন করে জনগণের কাছে পুলিশের যে আস্থা তৈরী হচ্ছিল সেটাও নষ্ট হয়ে যাবে; যা বাংলাদেশ পুলিশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তা চায় না বলে আমরা সাংবাদিক মহল মনে করি।
ঘটনার বিবরণে আরও জানাগেছে, সাংবাদিক জনি আহমেদ সাংবাদিকতার পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসে একটি ভেন্ডারে দলিল লেখায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরী করতেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের বেতন বর্তমান বাজার অনুযায়ী বেতন কম থাকায় স্ত্রী ও ছোট ছোট ২টি সন্তান নিয়ে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। সেকারণে গত আগস্ট মাস থেকে চাকরী ছেড়ে মাত্র ১ মাস যাবৎ চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রী অফিসেই একটি জায়গায় ছোট একটি টিনের চালা দিয়ে নতুন টেবিলের উপর কম্পিউটার রেখে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করছিলেন সাংবাদিক জনি আহমেদ; সাথে নতুন চেয়ার-বেঞ্চও ছিল। কিন্তু ব্যবসা পরিচালনা মোটামুটি ভালো চলার কারণে সাব রেজিস্ট্রী অফিসের কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের মধ্যে হিংসা বা ক্ষতি করার মানসিকতা তৈরী হয়েছে বলে আমার ১০০% ধারণা।
এদিকে, গত ২৪ আগস্ট সোমবার রেজিস্ট্রী অফিসে কম্পিউটারে দলিল লিখে কাজ শেষে বাড়ী ফিরে আসি। পরে গত ৩০ আগস্ট রোববার কাজ করতে গেলে দেখি আমার বেঞ্চটি নেই।
পরের সপ্তাহে গত ৩০ ও ৩১ সেপ্টেম্বর রোববার ও সোমবার নিজের কাজ শেষ করে বাড়ী চলে আসি। পূর্বের বেঞ্চ চুরির ঘটনা মনে হওয়ায় গত ১, ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার পেরিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্দেহ হলে অফিসে যায়, গিয়ে দেখি আমার নতুন টেবিল-চেয়ারও নেই। তখন সাংবাদিক জনির মনে হয় যে বেঞ্চ চুরি করেছে সেই একই লোকই এই টেবিল ও চেয়ার চুরি করেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ভাবলাম বেঞ্চের মত টেবিল ও চেয়ার চুরি হয়ে গেছে (তবে অফিস প্রাঙ্গণে যারা কম্পিউটারে দলিল লেখে তাদের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে মুল দুস্কৃতিরা এ জঘন্যতম কাজ করে আমার ছোট ছোট সন্তানদের আহার কেড়েছে যেমনী; তেমনী অন্যায়ভাবে আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতি করার পাঁয়তারা করে চলেছে সবসময়।
এদিকে, সাংবাদিক জনি আহমেদ, তাদের এমন শাস্তি চেয়েছে যেন আর কোনদিন ডিজিটাল কার্যক্রমের অংশহিসেবে সাংবাদিক জনি আহমেদে উপর এ চুরির ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন নজর দিবেন এমনটাই নতুন আশা পুলিশের কাছে। এ বিষয়ে অফিস প্রাঙ্গণে চায়ের দোকান বা অন্যান্য মানুষের কাছে তদন্তপূর্বক খোঁজ খবর নিলে অনেকটাই উপকার হবে তদন্ত ক্ষেত্রে।
তবে আসামীদের ধরতে চুুয়াডাঙ্গা বিগবাজার থেকে কোর্টমোড়, কোর্টের ভিতর অথবা রয়েল ব্লু হোটেল থেকে কোর্ট ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত গত ৩১ আগস্ট সেপ্টেম্বর থেকে ১, ২ ৩ ও ৪ দিন পর্যন্ত সিসি ফুটেজ খুঁজে বের করলে আসামীরা ধরা পড়তে পারে বলে আমিসহ মনে করে সাংবাদিক মহল।
এ বিষয়ে আমি সাংবাদিক জনি আহমেদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর ভরসা রেখে উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে মানবিক পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এর কাছে সঠিক বিচার চেয়ে আমার একমাত্র উপার্জনের টেবিল চেয়ার ও বেঞ্চ ফেরত পেতে ও চোর চক্রকে সনাক্ত করতে পারবেন বলে সাংবাদিক জনি আহমেদসহ চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক মহলের জোর দাবী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102