জয়পুরহাটে ক্ষেতলালে ফিলিপাইনের সুন্দরী নারির আবির্ভাব অতঃপর নববধু।
প্রেম মানে না কোন বাঁধা তাইতো এবার প্রেমের টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান (৩৯) এর কাছে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইনের নারী আনা মারিয়া ভেলাস্কো (৩৭)। রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমানের ক্ষেতলাল সদর এলাকায় ভাড়া বাসায় চলে আসেন তিনি।
গত ০২ বছর পূর্ব ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো’র সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ হেল আমানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় বিবাহের উদ্দেশ্যে বিমান যোগে গত ০২ (সেপ্টেম্বর) শনিবার শাহাজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় ফিলিপাইন ওই যুবতী। সেখান থেকে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান ০৩ (সেপ্টেম্বর) রবিবার সকাল ১০:৩০ ঘটিকার সময় ফিলিপাইন যুবতীকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার সদরে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন।
ফিলিপাইনের যুবতী ক্ষেতলালে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নবদম্পতিকে দেখতে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
জানা গেছে, ফিলিপাইন যুবতীর প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত শরিফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে।
৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুজনে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের সময় ওই যুবতীর নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়।
এবিষয়ে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুজনার মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে খ্রিস্টান ছিলো কিন্তু গত তিন বছর পূর্বে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব চাকুরী করতো সেখান থেকে আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করেছি।
এবিষয়ে ফিলিপাইন যুবতী আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, আমি নিজ ইচ্ছায় ভালোবাসার মানুষ আব্দুল্লাহ হেল আমান কে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছি। বিবাহ করেছি তার পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।
এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা জানান ফিলিপাইন এক মেয়ে প্রেমের টানে তার বাসায় এসেছে। আমরা প্রতিবেশীরা ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছি।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে জানিয়েছে নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছে।