বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হলো যুদ্ধবিরতির চুক্তি, তবুও ইসরাইলি হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শিশুশ্রম নিরসনে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। চুলকাটিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি মিডিয়া এন্ড জার্নালিজম ক্লাবের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। এক পদে দুইবারের বেশি নয়; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ৪ বছর। ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব। কালীগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক। সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী নিরাপত্তা জোট গঠনে আগ্রহী পাকিস্তান।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মেয়রের ছবি নামিয়ে ফেলায় আ.লীগ নেতার গলায় জুতার মালা

জুনায়েদ সিদ্দিকী বরিশাল প্রতিনিধি।
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩

বরিশালে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মেয়রের ছবি নামিয়ে ফেলায় আ.লীগ নেতার গলায় জুতার মালা।

বরিশাল নগরীতে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ছবি নামিয়ে ফেলার অপবাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে জুতার মালা পড়িয়ে হেনস্তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বরিশাল শহরজুড়ে সমালোচনার ঝড় চলছে । বিষয়টি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম মোঃ মনিরুজ্জামন খান বাচ্চু। তিনি নগরীর বান্দ রোডের সোনার বাংলা মটরসের সত্ত্বাধীকারী। এ ছাড়াও তিনি বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ছবি নামিয়ে ফেলার অপবাদ দিয়ে একটি ক্লাবে বসিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চুকে চাপে ফেলে নানা প্রশ্ন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে- মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দক্ষিণ বাংলা রাজনৈতিক অভিবাবক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে। তাকে এমন করে অপমান করতে পারে না বাচ্চু। পরে বাচ্চুকে জুতার মালা গলায় পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। এ সময় জোরপূর্বক তার কাছ থেকে সাদিক আবদুল্লার ছবি নামানোর স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। পাশাপাশি বাচ্চুকে ভূল স্বীকার করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ মনিরুজ্জামন খান বাচ্চু বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আমাকে একটি রোগী দেখার কথা বলে দোকান থেকে ডেকে নেয় মহানগর যুবলীগের সদস্য ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী মঈন জোমাদ্দার। পরে সাবেক কাউন্সিলর ছাবিদের ক্লাবের দোতলায় নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে। সাথে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে নেয় তারা। আমার গলায় ও মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কিছু কথা বলিয়ে ও জুতার মালা দিয়ে তা ভিডিও করে। এ সময় মঈনের সাথে ছিল সাব্বির, সোহাগসহ আরো কয়েকজন। পরে তারা সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
বাচ্চু আরও বলেন বলেন,আমাকে দিয়ে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ভাইয়ের নামে ছবি সরানোর যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া এবং ভিত্তিহীন। সেরনিয়াবাত সাদেক আবদু্ল্লাহ ভাই আমাদের সকলের মান্যবড় জনবান্ধব নেতা তার দলীয় কর্মকাণ্ডের সাথে বাকেরগঙ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে একাত্বতা মেনে জননেতা লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নেতৃত্বে উপস্থিতি থেকে অংশগ্রহন করি। যা অতীতে করেছি, বর্তমান করছি আর ভবিষ্যতেও করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন,অপরাধীরা তাদের ঘৃর্ন্য অপরাধকে ধামাচাপা দিতে সাদেক ভাইর নাম ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। এরআগেও তারা আমাকে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে থেকে ডেকে নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারী রাতে মোবাইল ফোন আর মটরসাইকেল আটকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। তখন বন্ধুত্বের মানবতায় নিরব ছিলাম। এবার হিসেবটা টাকার অংকের হওয়ায় অপারগতা প্রকাশ করায় তাদের কাছে আমাকে হেনস্থা আর নির্মমতার শিকার হতে হয়েছে। আমি কোন অপরাধ করিনি, শুধু অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যক্ষান করা আমার অপরাধ। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102