জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সংকট দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সংঘাতের শঙ্কাও। অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ অবস্থায় সংলাপের বিষয়টি আবার সামনে আনল নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর এক টেবিলে বসা উচিত। একসঙ্গে চা খাওয়া উচিত। তার পরে আলোচনা করে এই সংকটগুলো নিরসনের চেষ্টা করা উচিত।’
সিইসির সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠকে অন্য বিষয়ের মধ্যে রাষ্ট্রদূত জানতে চান, নির্বাচনের সময় পুলিশ কীভাবে কাজ করে। সিইসি তাকে জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পুলিশ কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করে। কে কোথায় দায়িত্ব পালন করবেন, আগে থেকেই তালিকা করা হয়।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য কোনো সংস্থা বা নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে পিটার হাস কিছু জানতে চাননি বলে জানান সিইসি। তিনি জানান, নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের কাজ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে জানতে চান রাষ্ট্রদূত। সিইসি জানান, আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে কীভাবে কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, তা রাষ্ট্রদূতকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বৈঠকে বলেন, সক্রিয় কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে তেমন সক্রিয় নয়, এমন দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিধি কঠোরভাবে মেনে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ শুধু অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে অক্টোবরের শুরুতে প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। দলে থাকবেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতির বিষয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) বিশেষজ্ঞরা।
এনডিআই ও আইআরআই পর্যবেক্ষণে আসবে, এমন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশে কাজ করে যাওয়া সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন ডেনিলোউইজ এক টুইটে বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে নির্ভরযোগ্য বিদেশি ও দেশীয় পর্যবেক্ষকের সমন্বয়ে একটি ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। তবে অতীতের নির্বাচনগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, শুধু পর্যবেক্ষকরা অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন না।