ইসরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা বেনি গ্যান্টজ সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক হামলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরানকে একটি “গুরুতর ও ভারী মূল্য” দিতে হবে, যা আঞ্চলিক মিত্রদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা হবে।
এক্সে করা এক পোস্টে বেনি গ্যান্টজ বলেন, গত অক্টোবরে ইরানের তেলক্ষেত্রগুলোর ওপর হামলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সেই সময়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভয় পেয়ে তা বন্ধ করে দেন । এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে প্রায় এক দশক পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য গোপন ও প্রকাশ্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তারা জোর দিয়ে বলেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেয়া হবে না।
এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পথে এগিয়ে গেছেন, যা ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের পরিকল্পনাকে স্থগিত করেছে ।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাতে ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিবর্তে তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কার্যক্রম সীমিত করার চেষ্টা করছেন। মার্কিন প্রশাসনসহ অন্যান্যদের বরাত দিয়ে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমটি।
গত মে মাসে ইসরায়েল ইরানে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এই হামলার মাধ্যমে মূলত পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে ইরানকে এক বছর অথবা তার বেশি সময় পিছিয়ে দেয়াই লক্ষ্য ছিল। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষার পাশাপাশি তেহেরানে সফলভাবে হামলার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল।
হামলার বিষয়ে কয়েক মাস আলোচনার পরে সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত শনিবার ওমানে পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষই দাবি করেছে আলোচনা ইতিবাচক এবং গঠনমূলক হয়েছে।