মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

কাদের মির্জার অনুসারীদের গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মি গুলিবিদ্ধের অভিযোগ।

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১
কাদের মির্জার অনুসারীদের গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মি গুলিবিদ্ধের অভিযোগ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারীদের গুলিতে বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের এক কর্মি গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গুলিবিদ্ধ করিম উদ্দিন শাকিল (২৪) বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের সদস্য এবং কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বাদলের সক্রিয় অনুসারী বলে জানা যায়। সে বসুরহাট পৌরসভা ৯নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তফা ড্রাইবারের নতুন বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার ( ৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রী বাড়িতে ঘটনা  এ ঘটে। এ নিয়ে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার থেকে ফেসবুক লাইভে এসে আমাকে ও আমার খালাতো ভাই রাহাতকে এবং ছাত্রলীগ কর্মি শাকিলকে হত্যার হুমকি দেয় কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল। হুমিকর দুই দিন পর কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে কাদের মির্জার ৩৫-৪০জন অনুসারী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রী বাড়িতে শাকিলকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কেচ্ছা রাসেল শাকিলকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়লে সে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
মঞ্জু আরও অভিযোগ করেন, অস্ত্রধারী কেচ্ছা রাসেল বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ক্যাডারদের মধ্যে অন্যতম। কাদের মির্জা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও কেচ্ছা রাসেলসহ তার অনুসারী একদল অস্ত্রধারী বসুরহাট পৌরসভার তৃতীয় তলায় বসবাস করে আসছে। চলতি বছরের মে মাসে বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়াতে অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া ও গুলি করছেন এমন একটি ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাতে পেয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত অদৃশ্য কারণে পুলিশ অস্ত্রধারী কেচ্ছা রাসেল ও পিচ্ছি মাসুদকে গ্রেফতার করেনি। এ ছাড়াও এই অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে ২০-২২টি মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার ঘোষিত উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম জানান, শাকিলের দুই পায়ে গুলির স্প্রিন্টারের আঘাত ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102