সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। ফেরারির মতো ছুটছি, সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেইঃ ছাত্রলীগ নেতা। বিএনপি-জামায়াতের বাড়িঘরে হামলার নির্দেশ দিলেন হাসিনা। গোয়ালন্দে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুই গ্রুপের পৃথক কর্মসূচি পালন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার। সনাতন ধর্মাবলম্বী দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিমা ভাঙচুর। সাবেক ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুককে আটকে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। তারাকান্দা নেতৃবৃন্দের সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ’র সাথে  মতবিনিময় সভা। তারাকান্দা সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩ নভেম্বর।

১৯৪৬ এর এই দিনে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১
১৯৪৬ এর এই দিনে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ,ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
(বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ  রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি সরকারী মেডিকেল কলেজ। এটি ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়।
যা বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে হতে স্নাতক পর্যায়ে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
ঠিকানা:-সেক্রেটারিয়েট রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বিশাল পরিবেশে শহুরে এলাকায় ২৫ একর (০.১০১ বর্গকিলোমিটার) জায়গা নিয়ে অবস্থিত এ কলেজটি।এর সংক্ষিপ্ত নাম
“ঢামেক/ডিএমসি”
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে ভারতবর্ষের ক্ষমতা দখলের প্রায় একশ বছর পর ১৮৫৩ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠারও একশ’ বছরে এ অঞ্চলে কোন মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়নি। মধ্যবর্তী এ দীর্ঘ সময়ে কিছু মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মিটফোর্ড হাসপাতালের সাথে মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুল (যা বর্তমানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ), ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও সিলেট মেডিকেল স্কুল।
তবে পূর্ববঙ্গে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিতে নিতে চলে আসে ১৯৩৯ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের কাছে ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে হারিয়ে যাওয়া প্রস্তাবটি ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষে আলোর মুখ দেখে। ব্রিটিশ সরকার উপমহাদেশের ঢাকা, করাচী ও মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) তিনটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ উপলক্ষে ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন এবং অত্র অঞ্চলের প্রথিতযশা নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাদের প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করেই ১০ জুলাই ১৯৪৬ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চালু হয়।
১৯৪৬ সালে সকল বর্ষেই শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তবে ১ম বর্ষ ব্যতীত অন্য সকল বর্ষে ছাত্ররা আসে মূলতঃ কলকাতা মেডিকেল কলেজ হতে মাইগ্রেশন করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সহিত এই মেডিকেল কলেজটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ গঠনের প্রাক্কালে স্থাপিত কমিটির প্রধান ডব্লিউ জে ভারজিন এর উপরেই ন্যস্ত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালনার গুরুদায়িত্ব।
বর্তমানে অধ্যাপক হিসেবে আছেন
খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া।
একটি মাত্র ভবন নিয়ে পথচলা শুরু করা হয়েছিলো।
বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিজস্ব প্রায় ২৫ একর জমিতে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা- কলেজ ভবন, অডিটোরিয়াম, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল, বার্ন ইউনিট ইত্যাদি।
রয়েছে ২৮টি বিভিন্ন বিভাগ এবং হাসপাতালে ৪২টি ওয়ার্ডে ২৩৪ জন ডাক্তার, ২০০ জন ইন্টার্নি ডাক্তার, ৫৬০ জন নার্স এবং ১১০০ জন অন্যান্য কর্মচারী নিয়োজিত আছেন রোগীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিতে। প্রায় ২৩০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০ জনকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ হাসপাতালকে ৫০০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
পাঠক্রমঃ-
কলেজে আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট এমবিবিএস ও পোস্টগ্র‍্যাজুয়েট পাঠক্রম উভয়েই চালু আছে। বর্তমানে আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পোস্টগ্র‍্যাজুয়েট কার্যক্রম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত। সাধারণ ও কোটা মিলিয়ে এমবিবিএস কোর্সে ২০১৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ২২০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভর্তি হয়। ২০২০ সালে ১২৮ জন বিদেশী ছাত্রছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত আছে। ২০১২ সালের পরিবর্তিত পাঠক্রম অনুযায়ী চারটি পেশাগত পরীক্ষার বাধা পেরিয়ে একজন শিক্ষার্থী এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন লাভ করতে একবছর মেয়াদি ইণ্টার্নশিপ এর প্রয়োজন হয়।
বর্তমানে ৪২টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স (এমডি, এমএস, এম ফিল, ডিপ্লোমা) চালু আছে। এছাড়া বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস এর বিভিন্ন বিষয়ের ফেলোশিপ কোর্স এ কলেজে চালু আছে।
জাতীয় রাজনীতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের অনেক ভূমিকা রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে আছে,থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102