মোঃ আক্তার হোসেন, ইয়াস- পরিদর্শকঃ সুনামগঞ্জে সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে সরকারী অর্থ আত্মসাত করছে আবুল কালাম আজাদ,বর্তমান উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিষয়টি সু-কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে অবলিলায় চলে আসছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ছে না, নাকি বিষয়টি আমলে না নিয়ে অনৈতিকভাবে ভুয়া ঠিকানাধারীদের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে-এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বহু চাকুরী প্রত্যাশী ব্যাক্তি রয়েছে, আবার চাকুরীর প্রত্যাশায় আরো শত শত প্রার্থী সঠিক ঠিকানা ব্যবহার করে সরকারী বিভিন্ন পদে দরখাস্ত দিয়ে প্রহর গুনছে। তবে আবুল কালাম আজাদ কিভাবে বহালতবিয়তে রয়েছেন!।
সম্প্রতি সুনামগঞ্জ জেলা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। হবিগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার গেপায়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নাগরিক বলে তাহার সব পরিচয়। উক্ত পরিচয় দিয়েই তিনি করছেন সরকারী চাকুরী। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ জনসাধারন কথার মদস্ততায় তাহার বাড়ি কেথায় জানতে চাইলে তিনি একেক সময় একেক ঠিকানা বলতেন।
এই বিষয় তাহার উল্লেখিত ঠিকানা হবিগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়ন এলাকায় গিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় জনসাধারনের কাছে খোঁজ করলে তারা অনেক খোঁজাখোজি করে তল্লাশি করে কোনো মিল পান নাই বলে জানান, পরবর্তীদের তাহার ছবি দেখানোর পরেও সবাই বলেন এমন কোনো লোক এই এলাকায় আমরা কখনো দেখি নাই। সম্ভবত এটা ভুুুয়া।
এমন মন্তব্য প্রকাশ করার পরে সংবাদ কর্মীগন
আবুল কালাম আজাদের বর্তমান কর্মস্থল দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলায় দেখা করতে গেলে কথাবার্তার মধ্যে তাহার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথমে বলেন ঢাকা সাভার উপজেলার ইমামদিপুর। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা কী সাভার উপজেলায়? তিনি বলতে নারাজ। কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুযায়ী তাহার বাড়ি হবিগঞ্জ কী না জিজ্ঞাসা করায় তিনি ভয় পেয়ে গেলেন, ভয়ে ভয়ে বললেন হ্যা। তবে, ইউপি চেয়ারম্যানের নাম, তিনি কত নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাও বলতে পারেননি।
মূলত আবুল কালাম আজাদের জাতীয় পরিচয় পত্রে পরিচয় দেয় সে ৫নং ওয়ার্ডের নাগরীক কিন্তু তল্লাশী করে জানা যায় সে গোপায়া ইউনিয়নের নাগরিক না।