মোঃ নাজমুল হুদা, ‘ইয়াস’ ভ্রাম্যমাণ ক্রাইম তদন্ত পরিদর্শক, রংপুর জেলাঃ রংপুরের বাজার এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। দামে স্বস্তি মিলেছে ক্রেতাদের। তবে অস্থিরতা কাটেনি চালের বাজারসহ কয়েকটি কাচা বাজারের খরচে । সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজি প্রতি দুই থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া বাজারে সরবরাহ কম থাকায় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দামও ঊর্ধ্বমুখী।
রংপুর সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রতিকেজি মিনিকেট ও নাজিরশাল চাল বিক্রি হয়েছে ৬২-৬৯ টাকা, যা ৭ দিন আগে ছিল ৫৭-৬৩ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৫২ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৬-৪৮ টাকা, যা ৭ দিন আগে ছিল ৪২-৪৫ টাকা।
রংপুর সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী লাকী ইসলাম বলেন, প্রতি সপ্তাহে মিলাররা চালের দাম বাড়াচ্ছে। এক সপ্তাহ পরপর মিল থেকে বস্তাপ্রতি মূল্য বৃদ্ধি করছে। তাদের নির্ধারিত দরে চাল কিনতে হচ্ছে। বাজারে আমন ধানের চাল উঠলেও মিলাররা চালের দাম কমাচ্ছে না। যার প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়ছে।
সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। নতুন পেঁয়াজ উঠলেও দাম কমছে না। রংপুরের বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও যা ৬০ টাকা ছিল। আর এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা, যা ১ সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫ টাকা।
পেঁয়াজ বিক্রেতা আমিনুল হক বলেন, নতুন পেঁয়াজ উঠলেও এখনও বাজারে সরবরাহ কম। আবার পেয়াঁজের মৌসুম হওয়ায় আমদানিও কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে দু’একদিনের মধ্যেই দাম কমতে পাওে ধারনা করছেন তিনি।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে আলুর দাম কমতে থাকলেও সরবরাহ সংকটের অজুহাতে আবারও আলুর দাম বেড়েছে। গত সোমবার রংপুর সিটি বাজারে নতুন কার্ডিনাল আলু ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ বৃহঃবার (২৪ ডিসেম্বর) সেই আলু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নতুন সাদা আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিন খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৬ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০-৩২ টাকা। অন্যদিকে গত কয়েক মাস থেকেই ধাপে ধাপে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। নতুন করে সপ্তাহ ব্যবধানে নিত্যপণ্যটির দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কোম্পানিভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা, যা ৭ দিন আগে ছিল ১০৭-১০৮ টাকা।
তবে শীতকালীন সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। রংপুরের বাজারে এখন ফুলকপি ১০-১৫ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা, শিম ২০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, মুলা ৫ টাকা, শসা ৩০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, আদা-১০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১১০-১২০ টাকা, পাকিস্তানি কক ১৭০-১৮০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এএসবিডি/আরএইচএস