সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভিযোগে মেজর সাদিকসহ গ্রেফতার ২০

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

নাশকতা চালানোর জন্য কর্মশালার নামে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত) ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪০০ ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগে মেজর সাদেকুল হক সাদিকসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাদিকের বিষয়ে তদন্ত চলার কথা সেনাবাহনীর পক্ষ থেকে জানালো হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরো দুজনকে শ্যেন অ্যারেস্ট করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, সরকার উৎখাতে আওয়ামী নাশকতার ছক অনুযায়ী এর আগেও রাজধানীর অন্তত চারটি স্থানে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর মধ্যে সুরক্ষিত একটি স্থানেও প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বাছাই করা ক্যাডারদের। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। চাকরিরত একজন মেজর এ পর্যন্ত হওয়া প্রশিক্ষণগুলোর সমন্বয় করেছেন। এসব প্রশিক্ষণে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা, গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা এবং মেহেরপুরের যুবলীগ আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন।

আরো জানা গেছে, কলকাতার সল্টলেকের বাসায় বসে সরাসরি ঢাকার এসব প্রশিক্ষণসহ সার্বিকভাবে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাকে সহযোগিতার জন্য তার সল্টলেকের বাসায় অবস্থান করছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা। অন্যদিকে দিল্লিতে অবস্থান করা পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান পলাতক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান তাদের কৌশলগত সাপোর্ট দিচ্ছেন।

এদিকে সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যদিও বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, তারপরেও আমি বলব, যে এরকম একটা ঘটনার কথা জানার পরে সেনাবাহিনী হেফাজতে আছে এবং তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে তার দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন আছে এর বেশি এই মূহুর্তে বলা আমার মনে হয় সমিচীন হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102