রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
শনিবার (১২ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি-বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “১০০ মিটারের মধ্যে আনসার ক্যাম্প, পুলিশের থানা থাকলেও কিছুই করা হয়নি। এটি সরকারের ব্যর্থতা।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের কথা বললেই বলা হয় সংস্কার। অথচ ১২ মাসের বাংলাদেশও নিরাপদ না। দেশকে অনেক পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
রুমিন ফারহানা বলেন, “যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে ততটুকুর ভিত্তিতেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। বাকিটা জনগণ ঠিক করবে।”
আলোচনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “গত ৯ মাসে ১৭৫-১৮০ জন মানুষ মবে মারা গেছেন। বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে গিয়ে সরকার রাজনৈতিক সমর্থন গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার দায় এড়াতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে সামাজিক নৈরাজ্য চলছে, যা রাজনৈতিক নৈরাজ্যে রূপ নিচ্ছে। বৈশ্বিক নিরাপত্তার দিক থেকেও বাংলাদেশ ঝুঁকিতে রয়েছে।”
জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হোক। সময় যত দেরি হবে নৈরাজ্য তত বাড়তে পারে।”