দেশের সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরই নির্বাচনসহ অন্য দায়িত্বে নামবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান জানান, সীমান্তের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য ও প্রতিকূল পরিবেশের তুলনায় বিজিবির ৫৭ হাজার জনবল পর্যাপ্ত নয়, তাই নতুন ব্যাটালিয়ন ও বিওপি স্থাপন এবং অতিরিক্ত ৫ হাজার জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি জানান, গতকাল অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জনবল সংকটের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এটি একটি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। নতুন জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ শেষ হলে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনকালীন দায়িত্বেও তারা কাজে লাগানো হবে।
সীমান্তে পুশব্যাক ও পুশইন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়মিত প্রতিবাদ জানানো হয়। পুশব্যাক হওয়া বেশির ভাগই বাংলাদেশি হলেও কিছু ভারতীয় নাগরিক ও রোহিঙ্গাও ফেরত আসছে। তিনি এটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন।
নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে বিজিবি জানায়, সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার পর ভোটের সময় ৮ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা কেন্দ্রগুলোতে স্ট্রাইক ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে বিজিবি, তবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। সীমান্তে বড় আকারে কাঁটাতারের বেড়া নয়, গবাদি পশু পাচার রোধে ‘ক্যাটল ফেন্স’ ব্যবহার হচ্ছে, আর সীমান্ত সড়ক নির্মাণ সেনাবাহিনী করছে বলে জানান তিনি।