রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দান করা যাবে ঘরে বসেই

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের জন্য প্রথমবারের মতো চালু হলো অনলাইন দানের সুবিধা। এখন থেকে দেশ-বিদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে এই মসজিদে অনলাইনে দান করা যাবে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে www.paglamosque.org ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।

শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি গড়ে ওঠে।

কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। সে জন্য দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে দান করে থাকেন। মানুষ টাকাপয়সা ছাড়া স্বর্ণালংকার দান করেন। এ ছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।

পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু চক্র পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই পাগলা মসজিদে দান করতে চাইলেও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম না থাকায় দান করতে পারছিলেন না। “দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়”-এমন বিশ্বাসেই দেশ-বিদেশের মানুষ পাগলা মসজিদে দান করতে আসেন। আর সেই বিশ্বাসকে আরও সহজ, নিরাপদ করতে অনলাইন ডোনেশন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।’

জনশ্রুতি আছে, প্রায় আড়াইশ বছর আগে একজন আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা চরে। ওই পাগল সাধকের মৃত্যু পর এখানে নি‌র্মিত মস‌জিদ‌টি পাগলা মসজিদ হিসেবে প‌রি‌চি‌তি পায়।

পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ এ মসজিদে দান করে থাকেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এখানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।

প্রতি তিন মাস অন্তর খোলা হয় দান সিন্দুক। সেখানে পাওয়া যায় টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, বিদেশি মুদ্রা এমনকি চিঠিপত্রও। সবশেষ ২০২৫ সালের (১২ এপ্রিল) খোলা হয় দানসিন্দুক। ওই সময় মসজিদের ১১টি সিন্দুক থেকে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। এটি দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দানের ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ বলে দাবি করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102