অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।
এইসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করছে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এদেশের মানুষ গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে চায়। সাধারণ মানুষের ভোটেই দলমত নির্বিশেষে সোনার বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থিতিশীলতা ফিরে আনতে এবং স্বৈরাচারের বিচার করতে দেশে একটা নির্বাচিত সরকার দরকার। জনগণের সেই নির্বাচিত সরকারই পারবে দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ধ্বংসাত্মক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের ওপরে যে হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা চালিয়েছে তার বিচার করতে। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি সুস্থ ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করব। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যেকটি দাবি পূরণ করতে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করব। মানুষের বাকস্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে মেরামতের জন্য কাজ করব। এজন্যই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার রূপরেখা দিয়েছেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোংলার পৌর এলাকা ও উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং রামপালের ১০টি ইউনিয়নে বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে।
আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ’র মোংলা উপজেলা সভাপতি শাহ আলম’র সভাপতিত্ব ও পৌর শাখার সভাপতি সেলিম হাওলাদার’র সঞ্চালনায় এসময় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল মোংলা উপজেলা শাখার সভাপতি বীর আবু হানিফ শেখ, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মানিক, যুগ্ম আহবায়ক মো: এমরান হোসেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, অভিভাবক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত হাফেজ ছাত্রদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় এবং মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ফলজ ও ভেষজ গাছের চারা রোপণ করা হয়।