৩৩ দফা নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশের মতো তারাকান্দায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সারা বাংলাদেশ মোট পরিক্ষার্থী ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭৯৭ টি। মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৩১৪ টি। ১১ টি বোর্ডের মধ্যে ময়মনসিংহ বোর্ডে মোট পরিক্ষার্থী ৭৮ হাজার ২৭৩ জন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০ টা হতে এক যুগে ১১ টি বোর্ডে এই পরিক্ষা শুরু হয়ে বেলা ১ টায় শেষ হয় সারা বাংলাদেশে।
এবারের ময়মনসিংহ বোর্ডের তারাকান্দা উপজেলায় ২ টি কেন্দ্র ছিলো। পরীক্ষার কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়,এবার তারাকান্দা উপজেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭ শত ৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ১ হাজার ৭ শত ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার মোট শিক্ষার্থী কলেজ শাখায় ১ হাজার ৫ শত ৮ জন, আলিম শাখায় ২৬৮ জন। তারাকান্দা উপজেলার ২ টি কেন্দ্রে প্রশাসনের ভূমিকা ছিলো খুবই কঠোর। সরব ছিলো প্রশাসনসহ পরিক্ষার দায়িত্বে থাকা সকলেই।
এখানে উল্লেখ্য যে, ফজলুল হক চৌধুরী মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হান্নান তালুকদার ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের আব্দুল কাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে দায়িত্ব অবহেলার কারণে।
এ সময় তারাকান্দা উপজেলার ফজলুল হক চৌধুরী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসাইন,সহকারি কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা তামান্না হুরাইয়া,কেন্দ্র ট্যাগ অফিসার উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারি প্রকৌশলী সালাউদ্দিন ইউসুফ,মহিলা কলেজের সভাপতি রাকিব তালুকদার।
পরিক্ষা শেষে দৈনিক সকালের রিপোর্টার কেন্দ্র নং-৫৮১ ”ফজলুল হক চৌধুরী মহিলা কলেজে”র অধ্যক্ষ হোসেন আলী চোধুরীর কাছে জানাতে চাইলে তিনি জানান” আপনারা জানেন এবার আমরা নতুন কেন্দ্র পেয়েছি। তাই আমরা সকলেই খুব দায়িত্বের সাথে কাজ করেছি। আমাদের পরিবেশ ছিলো খুবই ভালো। আমার কেন্দ্রে ৫২৮ জন পরিক্ষার্থী ছিলো। আমার কলেজের কোন পরিক্ষার্থী আমার কেন্দ্রে পরিক্ষা দেয় নি। আমার কলেজের পরিক্ষার্থী ছিলো ২১৩ জন। আমাদের এই কেন্দ্রের নিরাপত্তার বেষ্টনী কতটা কঠিন ছিলো তা আপনারা দেখেছেন। প্রতিটি হলে সিসি ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত শিক্ষক ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনসহ পুলিশ তৎপরতা, চারদিকের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রতিটি পরিক্ষার্থীদের জন্য ছিলো নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা।
আর এই সবই সম্ভব হয়েছে আমাদের উপজেলা প্রশাসক জনাব জাকির হোসেন সাহেবের জন্য। তাই আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাই এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি সব সময় আমাদের তার নজরদারিতে রেখেছেন। সার্বক্ষণিক খুঁজ খবর রাখছেন। তার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আমি বা আমরা কখনোই ভুলবো না। তিনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মনের মানুষ। পরিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ আমাদের ব্যপারে খুবই ইতিবাচক। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।