নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঁশখালী উপজেলার ৬ নং কাথারিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সরকার এখন কথিত যুবলীগ নেতা, পুলিশের সোর্স আবুতালেব। আবুতালেবের সোর্সগিরি এবং সরকার দলিয় দাম্ভিকতায় লাগামহীন ভাবে পাঙ্খা লাগিয়ে উড়ছে বলে জানা যায়। কতটা ক্ষমতার ধৃষ্টতা দেখালে মানুষ তার বিষয়ে একটা লোকের বিষয়ে এমন মন্তব্য করতে পারে।
এলাকার নিরীহ মানুষ সোর্স আবুতালেবকে ওই এলাকার সরকার বলে মনে করেন। সামাজিক বা ব্যক্তিগত কোন কাজকর্ম উৎসব আনন্দ অনুষ্ঠানে সোর্স আবুতালেবকে অবগত করা না হলে ওই অনুষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের উপর উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন।
যেকারণ আবুতালেবের কোন বৈধ অবৈধ কাজে তার বিপক্ষে কথা বলার মত কোনও সাহস লোক নেই।
জোরজুলুম অত্যাচার মাদক পাচার, এলাকায় শালিস বিচারের নামে প্রহসন করে কোটিপতি হয়েছে এই কথিত সোর্স।
এছাড়া অসাধু পুলিশ অফিসারদের সাথে অবৈধ ইয়াবা বাণিজ্য করে এলাকায় কালোটাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে আবুতালেব। জানা গেছে আন্তঃজেলা কালোবাজারিদের সাথে হট লাইনে এখন আবুতালেবই সবার সেরা।
অবৈধ কালোটাকার গরমে সাধারণ মানুষগুলো যেন এখন তার কাছে অতিনগণ্য কীটপতঙ্গের মত।
এদিকে কক্সবাজার জেলার শীর্ষ ১০ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকার প্রথমেই যার নাম আছে, তিনি হলেন আলোচিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। জানা গেছে বদির সাথে গোপন সংযোগে মাধ্যমে পুরো বাঁশখালী এলাকা একাই নিয়ন্ত্রণ করছে সোর্স আবুতালেব। এছাড়া আব্দুর রহমান বদিকে নাকি ধর্মীয় বাপ ডেকেছে আবুতালেব। যারফলে সবকিছুর অন্তরায়িত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তালেব বাহিনী।
এদিকে স্থানীয় সুদখোর সমশু সমাজের মাতব্বরকে ম্যানেজ করে সুদের পাশাপাশি সোর্স আবুতালেবের সাথে ভিড়ে রমরমা মাদকের বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। এছাড়া স্থানীয় ওই সমাজপতিকে ম্যানেজ করে অবৈধ মাদক এবং জুয়াখেলার আসর নিয়ন্ত্রণ করছে আবুতালেব।
মাসে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা এবং দৈনিক দুই লিটার গরুর দুধ এবং এক কার্টুন বেন্সন সিগারেট দিয়ে মাতুব্বরের মুখ শীলমোহর করে রেখেছে বলে সূত্রে জানা যায়।
আবুতালেবের অবৈধ আয়ের টাকার প্রলোভনে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে তালেব বাহিনী। জানা গেছে তালেব বাহিনীদের দখলে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এছাড়া সোর্স আবুতালেব হল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার কুখ্যাত জলদস্যু বাইশ্যা ডাকাতের একান্ত সহযোগী বলে সূত্রে জানা গেছে। ভূমি দখল, মাদকের বাণিজ্য ছাড়াও সাগরকুল গহিরা এলাকায় রয়েছে তার পাঁচটি বসতঘর ওই ঘরে রয়েছে তার পাঁচজন অবৈধ স্ত্রী। সাগরের ভাসমান জাহাজ থেকে চোরা পথে বিদেশি মদ বিয়ার সহ অন্যান্য মালামাল পাচার করতে ওই পাঁচজন নারীকে কথিত স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে রাখা হয়েছে বলে সূত্রঃ জানায়।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে মাদকের কোন অভিযানে করা হলেও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয় প্রশাসনকে। জানা যায় কোন এলাকায় কোন অফিসার অভিযান পরিচালনা করবে এবিষয়ে পূর্ব থেকেই অবগত করেন সোর্স আবুতালেব।
পুলিশকে মাদক ধরিয়ে দিলে একবার হয়তো ৩০% করে সে পাবে কিন্ত মাদক কারবারিদের সহায়তা দিতে পারলে সে বারবার অনেক টাকা পাবে।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় সমাজের মাতব্বর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নারী পুরুষকে মাদক ও সুদী সম্রাট সমশু এবং আবুতালেবের পক্ষে সাফাই গাইতে বাধ্য করেন।
এছাড়া কোন লোক যদি সুধীসমশুর সুদের টাকা সময়মত ফেরৎ দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ওই মাতব্বর এবং সোর্স আবু তালেবের সহায়তায় তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় টর্চার সেলে। এরপরে তার উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।
এছাড়া আবুতালেবের সহায়তায় সমশু এবং তার দুই ছেলে ফোরকান ও আরকান আন্তঃজেলা মাদকের ডিলার হিসাবে সক্রিয় রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।
যেকারণে সমশুর বিরুদ্ধে কোন মাদকের মামলা না হলেও বাঁশখালী ও চট্টগ্রামের আদালতে এদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের একাধিক মামলা রয়েছে।
জানা গেছে কাথারিয়া ইউনিয়নের শওকত নামের এক ব্যক্তির ঘরে অবৈধ প্রবেশ করে ওই পরিবারের ৯০ বছরের এক বৃদ্ধাকে এবং নারীদেরকে অমানুষিক নির্যাতন চালায় সমশু ও তার অনুসারীরা।
এব্যাপারে মামলা করতে থানায় গেলে রহস্যজনক কারণে কোন অভিযোগ গ্রহন করেনি থানা পুলিশ। পরে বাদী হয়ে আদালতে গিয়ে নারীও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এদিকে সমশুর বিরুদ্ধে নিলুফা আক্তার নিলু নামের আর ওই ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম ও বাঁশখালী আদালতে নারীওশিশু নির্যাতন আইনে মামলা করছে বলে জানা গেছে।