পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১১ই নভেম্বর যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুম বিল্লাহও তাঁর সহপাঠী এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তাঁর বাবা চৌগাছা থানা-পুলিশের সহযোগিতা চায়। মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ হোসেন অভিযুক্ত মাসুম বিল্লাহ কে না পেয়ে তাঁর বাবা জাহিদুল ইসলাম কে থানায় তুলে আনে। ছেলেকে হাজির করতে না পারায় জাহিদুল ইসলামকে দুই দিন থানায় আটকে রাখে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পলাতক ছেলে ও মেয়ে কে হাজির করে উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া ছেলে ও মেয়ে কে থানায় হাজির না করলে জাহিদুল ইসলাম কে ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন এসআই আশরাফ। একপর্যায়ে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেন এই পুলিশের কর্মকর্তা।
এবং গত ৫ই এপ্রিল সন্ধ্যার সময় উপজেলার মসিয়ূর নগর বাজার থেকে ১০টি ইয়াবা মাদক বড়িসহ তিন জনকে আটক করেন এসআই আশরাফ। তাঁদের মধ্যে দুইজন ক্রেতা এবং একজন বিক্রেতা ছিলো। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে বিক্রেতা কে ছেড়ে দিয়ে ক্রেতা দুই জনকে আটক দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে ঘুষ গ্রহণের এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এসআই আশরাফ কে যশোর পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়। পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, এসআই আশরাফের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। বিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সেই কারণে প্রথমে তাঁকে প্রত্যাহার ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগগুলো নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।