রামপালে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ মোঃ ইশার উদ্দিন
মোঃ মাসুম শেখ,(রামপাল,মোংলা)প্রতিনিধি
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
বাগেরহাটের রামপালে জোরপূর্বক জমি দখল ও মারপিটের অভিযোগ এর প্রতিকার চেয়ে আপন চাচার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাচা ইশার উদ্দিন।
(১৫ জুন) রবিবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় রামপাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্ত ভোগী ইশার উদ্দিন। এ সময় লিখিত অভিযোগে ইশার উদ্দিন বলেন,আমি মোঃইশার উদ্দিন শেখ , পিতাঃমৃতঃতুরাফ আলী আমি সহ আমার পরিবারের ছেলে, জামাই, নাতী এদেরকে জড়িত করে একটি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছে আমারই ভাতিজা আঃ হালিম শেখ এতে আমার পরিবারের মান সম্মান খুন্ন হয়েছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমার বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগ আমার ভাতিজা আঃহালিম শেখ, পিতাঃসদর উদ্দিন ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামে বসবাস করি এবং পৈতৃক সূত্রে বাপ-দাদার ওরেশ সুত্রে পাওয়া জমিতেই আমরা বসবাস করে আসছি,কিন্তু আমার ভাতিজা আঃ হালিম শেখ মিথ্যা দাবি করে যে মানিকনগরের ৫৩নং মৌজার এস.এ৫১ নং খতিয়ানের ৮৫০ দাগের ৬২ শতাংশ জমি কবলা সূত্রে মালিক তারা কিন্তু এই জমি আমাদের বাপের সূত্রে আমরা মালিক।কিন্তু আমি মোঃইশার উদ্দিন চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে ছোট হওয়ার শর্তে আমাকে নিম্নমানের জায়গা দেয় তারা সেটাও আমি মেনে নেই, কিন্তু আমি লেখাপড়া না জানা শর্তে আমার মেজো ভাই শেখ সদর উদ্দিন আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাকে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে এক বিঘা জমি ক্রয় করে যা পরবর্তীতে আমি জানতে পারি আমার কষ্টের টাকার জমি মিথ্যা কথা ও ছলনার মাধ্যমে শেখ সদর উদ্দিন অর্থাৎ আমার মেজ ভাই তার নিজের নামে দলিল করে নেয়। আমার মেজ ভাইয়ের এই মিথ্যা ছলনার কথা গ্রামের অনেক মানুষ জানে এবং আমার এই জায়গা ফেরত পাওয়া নিয়ে গ্রাম্য শালিশ ও বেশ কয়েকবার হয়েছে,কিন্তু আমার জায়গা আছে বুঝিয়া দেয় নাই তারা যে জায়গা ক্রয় করেছে তা নিয়ে আমার কোন প্রকার তাদের সাথে কখনো দ্বন্দ্ব হয় নাই। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে আনীত যে মিথ্যা অভিযোগ করেছে আমার ভাতিজা যে ১৫ শতক জায়গা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছি তা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা কারণ আমার টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে আমার নামে দলিল না দিয়ে মিথ্যা ছলনার আশ্রয় নিয়ে আমার মেঝো ভাই তার নিজ নামে দলিল করে নেয় যা আমি কোর্টের মাধ্যমে নিষ্পত্তি ও সঠিক বিচারের জন্য মামলা ও চলমান রয়েছে এবং ওই জায়গার এস. এ পর্চা ও বি. আর. এস পর্চা যা আমার কাছে রয়েছে এছাড়াও তারা আরো নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে যা আমি সহ আমার শরীকদের নামে ভুলবশত ৮১ শতক জমি রেকর্ড হয়েছে বলে দাবিও করেছে কিন্তু এই ৮১ শতক জমি বাপ-দাদার সূত্রে রেকর্ড পাওয়া জমি আমাদের শরিকদের। এছাড়া ও আমার ভাতিজা আরো মিথ্যাচার করেছে যে দখলকৃত জায়গা যেখানে আমি দীর্ঘদিন যাবত ধরে ভোগ দখল করে আসছি যেখানে আমার সবকিছু সে জায়গা নাকি আমি বেদখল করার হুমকি দিচ্ছি। এবং তারা আরো বলেছে যে এই জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ৯জুন সোমবার সকালে আমি সহ আমার পরিবারের ৩০/৪০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ জমি দখল করতে যায় এবং তাদেরকে মারধর করি যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা কথা। আমার ছেলেরা আমার ভাই সদর উদ্দিন শেখ এর কাছে কোরাইকৃত জমি সম্পর্কে জানতে গেলে আমার ভাই সদর উদ্দিন শেখ ও তার ছেলে আব্দুল হালিম শেখ আমি সহ আমার ছেলেদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসেন ঝগড়া ও ভাগ বিতন্ডার এক পর্যায়ে রামপাল থানা পুলিশ খবর পেয়ে বিষয়টি সুরাহা করতেঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে রামপাল থানা পুলিশের স্বর্গীয় ফোর্সেস এস, আই মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে উপস্থিত হয়ে সকলকে স্বাভাবিক করেন। এস.আই মাসুদুর রহমানের সামনে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি ও কিছু ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল কিন্তু তারা আনিত অভিযোগে বলেছে এস.আই মাসুদুর রহমানের সামনেই আমরা তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এস.আই মাসুদ সাহেবের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে শান্ত করেন এবং স্যার কথাও বলেন কিন্তু তারা এখান মিথ্যাচার করে বলছেন যে পুলিশের সামনে তাদেরকে মেরে গুরুতর আহত করেছি যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা কথা তারা শুধু আমার নামে নয় তারা পুলিশের নামেও মিথ্যাচার করেছে যা পুলিশের সম্মান ও ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমি আইনের প্রতি সম্মান রেখে আমার বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যাচার ও অভিযোগের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে যা শুধু আমার নয় পুলিশ প্রশাসনের মান সম্মান ও ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করছি।
আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমার জায়গা ফেরত পাওয়ার লক্ষ্যে আইনের সহায়তা কামনা করছি।