মোঃ রনি মিয়া, জগন্নাথপুর থেকেঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর সেটেলমেন্ট অফিসে প্রিন্ট, পর্চা, নক্সা ও রেকর্ড সংশোধনের নামে হরিলুট শীর্ষক সংবাদের তদন্ত শুরু হয়েছে।
ফলে ভূক্তভোগী ভূমি মালিকদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তবে আলোচিত ঘুষ- দুর্ণীতির বিষয়টি যাহাতে চাপা না পড়ে এ নিয়ে দাবী জানিয়েছেন এলাকার ভূক্তভোগী জনসাধারণ।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর সেটেলমেন্ট অফিসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে অনিয়ম- দুর্ণীতির সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে নড়েচরে বসেন স্থানীয় সেটেলমেন্ট অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা, কর্মচারী, এলাকার ভূমিখেকো ও অফিসের চিহ্নিত দালালরা।
এর আগে সংবাদ প্রচার না করার জন্য তদবীর চলে অভিরাম।
অবশেষে সংবাদটি যথারীতি চাপা হলে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সর্বমহলে তোলপাড় সৃষ্টি হলে টপ অব দ্যা টাউনে পরিনত হয় । নজর পড়ে প্রশাসনের উপর মহলে।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের ৪ দিনের মাথায় অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিন তদন্তে নামেন সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (০৫ নবেম্বর) সকাল ১০ টায়
সিলেট বিভাগীয় জোনাল অফিসার সৈয়দ ফারুক আহমদের নেতৃত্বে সিলেট জোনাল অফিসের কারিগরী উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর (২) জগন্নাথপুর ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ও সিলেট সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মহিতোষ চন্দ্র দাস।
এ নিয়ে বিভিন্ন মৌজার ভূক্তভোগী জনসাধারন সংবাদ মাধ্যমে কতিপয় দুর্ণীতিবাজ ও ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ গনমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। অনেকেই মোবাইল ফোনে জানান, তদন্ত হবে আমরা জানিনা। যদি জানতাম তাহলে এ অফিসের সকল অপকর্ম তুলে ধরতাম। আপনারা জাতীর বিবেক কলম চালিয়ে যান। আমাদের নানা ভোগান্তির কথা সরকার ও সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কতৃপক্ষকে জানান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষে সদ্য জগন্নাথপুর পৌর উপ- নির্বাচনে মেয়র প্রতিদ্ধন্দী, হবিবপুর গ্রামের আবিবুল বারী আয়হান বলেন, সেটেলমেন্ট অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তদন্ত হবে কেউ জানেনা। কিছু মানুষ আছে হক কথা বলেনা। আমি সকল অপকর্মের কথা তুলে ধরেছি। স্থানীয় সেটেলমেন্ট অফিসের ঘুষ-দুর্ণীতি নতুন কিছু নয়। আমি সকল অনিয়মের সুষ্ঠ তদন্ত চাই।
তদন্তকালে স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন আমরা যা লিখেছি তা সম্পূর্ন সত্য। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমানাদি রয়েছে।
এএসবিডি/আরএইচএস