বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বেসরকারী ‘সময়’ মেডিকেয়ার এন্ড হসপিসে চিকিৎসাধীন এক বছর বয়সী শিশু সুমাইয়ার মা ফাতেমা বেগম (২২) ছাদে কাপড় শুকাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায়।
জানাগেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের তালুকদার বাজার এলাকার হিরন মৃধার এক বছর বয়সী কন্যা সুমাইয়ার পা ভেঙ্গে যাওয়ায় গত ১২দিন পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ওই ক্লিনিকেই ভর্তি করেন । সুমাইয়ার সাথেই ওই ক্লিনিকেই অবস্থান করছেন মা ফাতেমা বেগম। আজ মঙ্গলবার ১১টার দিকে সুমাইয়ার মা ফাতেমা বেগম ঐ ক্লিনিকের ছাদে কাপড় শুকাতে গিয়ে অসাবধানতা বশতঃ ছাদের পাশে থাকা পল্লী বিদ্যুতের সার্ভিস তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মুখমন্ডল ও শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গুরুত্বর আহত হয়। ক্লিনিকের লোকজন ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ওই ক্লিনিকেই চিকিৎসা দেন। বর্তমানে ফাতেমা বেগম ভারসাম্যহীন হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তিনি তার শিশু কন্যা সুমাইয়াকে ছাড়া কাউকে চিনতে পারছেন না বলে জানায় তার স্বজনরা।
তার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালে প্রেরণ করেন ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইমদাদুল হক চৌধুরী।
ফাতেমার বাবা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, সকালে এ ঘটনা ঘটলেও ক্লিনিকের লোকজন আমার মেয়েকে একটি মাত্র স্যালাইর ছাড়া আর কোন ঔষধপত্র দেয়নি। আমার নাতি ছাড়া আমার মেয়ে আমাদের কাউকে চিনতে পারছেনা। তিনি আরো বলেন, আমি গরীব মানুষ মেয়ে নিয়ে এখন কোথায় যাবো। ক্লিনিকের লোকজন এখন আমার নাতি সুমাইয়ার নাম কেঁটে আমাদেরকে ক্লিনিক ছেড়ে যেতে বলছেন।
ঐ ক্লিনিকের চিকিৎসক ডাঃ এমদাদুল হক চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার পরে আহত ফাতেমা বিদ্যুতের ঝাকুনিতে ছাদের উপরে পড়ে যাওয়ায় তার মাথার পিছনের অংশ ফুলে গেছে। আমার ধারণা এতে তার মাথার মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এজন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
‘সময়’ মেডিকেয়ার এন্ড হসপিসের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রাকিব চৌধুরী রাজু মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত রোগীর মা ফাতেমা বেগমকে আমাদের অথার্য়নে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।