রাজধানীর বনশ্রীতে এক নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও তাঁর ছোটভাইকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, বুধবার রাতের এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ব্যাপক আলোচিত হয়। এরপর র্যাব-৩ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে রামপুরা থানায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার র্যাবের গোয়েন্দা শাখা কাজ শুরু করে। পরে প্রযুক্তি সহায়তায় মামলার প্রধান আসামি সোয়েব রহমান জিশানকে (২৫) রাজধানীর মেরাদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে বেইলি রোড থেকে অপর আসামি মো. রাইসুল ইসলামকে (২১) ও গেন্ডারিয়া থেকে মো. কাউসার হোসেনকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া জানান, গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান আকন্দ জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে বনশ্রীর একটি দোকানে জুস খেতে যান ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট ভাই রিশাদ এবং ডেইলি স্টারের সংবাদিক মাশফিক। এ সময় এলাকার কয়েকজন বখাটে ছেলে রাফিয়াকে ইভটিজিং ও হেনস্তা করে। এর প্রতিবাদ করায় বখাটেরা রাফিয়ার ছোট ভাইকে মারধর করে। ভাইকে বাঁচাতে গেলে হামলা হয় তামান্নার ওপরও। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে হুমকিও দেয় বখাটেরা।
এ ঘটনায় সোয়েব রহমান জিশানের (২৫) নামে একজনসহ অজ্ঞাত আরও দুই জনকে আসামি করে রামপুরা থানায় মামলা করেন রাফিয়া তামান্না। রাতেই রামপুরা থানায় মামলাটি হয় বলেও জানান আতাউর রহমান আকন্দ।
রাফিয়া তামান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার নিজের বাসার সামনেই নিরাপদ নই! আমাকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে মারধর করা হলো, আমাকেও লাঞ্ছিত করা হলো। অথচ আশেপাশের কেউ এগিয়ে এলো না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার চুল টেনে ধরে আমাকে হ্যাচকা টান দেওয়া হলো, বুকে আঘাত করা হলো, লাথি মারা হলো। চারপাশের সবাই দাঁড়িয়ে দেখছিল, কেউ কিছু বলেনি। একজন সাংবাদিক হয়েও যদি আমি এরকম হামলার শিকার হই, তাহলে সাধারণ নারীদের নিরাপত্তার কী অবস্থা?’