তামিম মাহমুদ বরগুনা সদর থানা প্রতিনিধিঃ০৭ অক্টোবর রোজ বুধবার সকাল ১০ ঘটিকার সময়, বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বড় সমস্যা সাম্প্রীতি সারাদেশ জুড়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ,
নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ এবং সকল ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বরগুনা জেলার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ ও বরগুনা হিউম্যানিটি ক্লাব এর যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনকারীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছে এই বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাত থেকে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার জন্য দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে মা-বোনদের স্বাধীনতা দিয়েছিল কিন্তু আজ সারাদেশের যেন ধর্ষণের মেলা মিলেছে। চলতি ২০২০ইং সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এর আজ পর্যন্ত সর্বমোট ৮৮১ জন নারী ধর্ষণ হয়েছে তার মধ্যে গণধর্ষণ ৬১২ জন ধর্ষণের পর হত্যা ৪১ জন ধর্ষণের চেষ্টা ১৯২ জন। ধর্ষকরা এতই দুঃসাহসী যে তিন বছরের ছোট শিশু কেও ছাড় দেয়নি। এমনকি নোয়াখালীতে এক বৃদ্ধ মহিলা বাবা বলা সত্বেও ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এভাবে হাজারো ধর্ষণের ঘটনা সবারই জানা।
দর্শকদের মধ্যে দেখা যায় যে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠনের বেপরোয়া যুবক ও বৃদ্ধ পুরুষরা এই দুঃসাহসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের সঠিক আইনের আওতায় না আনার কারণে দিন দিন ধর্ষণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধর্ষকরা আরও দুঃসাহসী হয়ে উঠছে।আমাদের মা বোনরা এখন পথে-ঘাটে নির্যাতিত হচ্ছে।
তারা স্বাধীনভাবে ঘর থেকে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ইউনিভার্সিটি তে যেতে পারে না ঘর থেকে রাস্তায় নামতে পারে না।
সমস্ত জায়গায় যেন নরপশু ধর্ষণকারীরা কেড়ে নিয়েছে কোথাও একটু নিরাপত্তা পাচ্ছে না তারা। পড়তে গেলে স্কুল মাদ্রাসা কলেজ ইউনিভার্সিটির দুশ্চরিত্র শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কক্ষে ডেকে ধর্ষণ,
রাস্তায় গণধর্ষণ, মায়ের সামনে থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ, গাড়ি পথে ধর্ষণ, স্বামীর সামনে স্ত্রী ধর্ষণ, এমনকি আইনজীবী প্রশাসনের হাতে বাচ্চা সহ বিভিন্ন বয়সের নারীরা ধ মিডিয়ার মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ,প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গণধর্ষণ চাকরি নিতে গেলে কমিটির লোকদের কাছে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ।এভাবেই ঝরে যাচ্ছে বিভিন্ন মেয়েদের জীবন তারা যেন আজ অসহায়।
এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না তাই ধর্ষণকারীদের প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি সরকারের কাছে।ধর্ষকরা যাতে আর কখনো বাংলাদেশের এই পবিত্র মাটি কে কলঙ্কিত না করতে পারে
বরগুনা জেলা