ব্যাংকগুলোকে ক্রেডিট কার্ডের সুদহার বাড়ানোর সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোকে ক্রেডিট কার্ডের সুদহার বাড়ানোর সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে নতুন বছর থেকে কোনো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে ২৫ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না। এর আগে যেটা ২০ শতাংশ ছিল। আর ক্রেডিট কার্ডে সুদ আরোপ শুরু হবে ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময়ের পর।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নতুন এ নির্দেশনা নতুন বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
নতুন নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ক্রেডিট কার্ড সীমার বিপরীতে ঋণ সুবিধা প্রদানসহ সুদহার যৌক্তিক এবং গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণে ক্রেডিট কার্ডের ওপর সুদহার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ নির্ধারণের নির্দেশনা আছে। তবে সুষ্ঠু ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে এবং নীতি সুদহার ও ব্যাংকগুলোর ক্রমবর্ধমান তহবিল ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে ক্রেডিট কার্ডের ওপর সুদহার সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
ব্যাংকগুলোর ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের জোগান সাপেক্ষে এ সীমার মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের সুদহার নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো তাদের প্রদত্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণকরত মুনাফার হার নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৯(২)(চ) ও ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দেওয়া হলো, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলো ৪৫ দিন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়। ক্রেডিট কার্ডে ঋণসীমার বিপরীতে ৫০ শতাংশের বেশি নগদ উত্তোলন করা যায় না। মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনে ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট জেনারেট হয়। যে তারিখে কার্ড বরাদ্দ হয়, সে তারিখেই ওই কার্ডের স্টেটমেন্ট জেনারেট হয়ে থাকে। একবার স্টেটমেন্ট জেনারেট হওয়ার পর পরের স্টেটমেন্ট জেনারেট হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত দিনসহ ব্যাংকভেদে প্রায় ৫০ দিনের ইন্টারেস্ট ফ্রি সময় পাওয়া যায়। আর অতিরিক্ত দিনে বিল মিটিয়ে দিলে সুদ গুনতে হয় না।