পরাজিত আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শেষে এখন ‘ইসকন লীগ’ হয়ে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহতের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত শোকসভা ও সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। এই লড়াই জারি রাখতে হবে। কারণ স্বৈরাচারের দোসররা ছাত্রলীগ, আনসার লীগ, রিকশা লীগ এবং এখন ইসকন লীগ হয়ে ফিরে এসেছে। এরা যতবার ফিরে আসবে আমরা ততবারই শক্ত হাতে এদেরকে মোকাবিলা করবো। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে সম্প্রীতির সঙ্গে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করবে। কিন্তু এখন ভারতের ইন্ধনে ইসকন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
এসময় ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন। আমরা চাই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হোক। যারা দেশের ভালো চায় না তাদের এই দেশে থাকার অধিকার নেই। তবে আওয়ামী লীগের কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। সবাইকে শান্ত থেকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমরা আমাদের কাজ করেছি। এবার সরকার দোষীদের গ্রেপ্তার করুক। ১৫ দিনের আন্দোলনে শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতা লোভীকে অপসারণ করা হয়েছে। এখন নতুন করে কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাকে অপসারণ করতে ১৫ মিনিট সময়ও লাগবে না।
কোনো ষড়যন্ত্রের সামনে আর চুপ করে বসে থাকা হবে না উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানেই ছাত্রলীগ পাওয়া যাবে তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
সভা শেষে চট্টগ্রামে হামলায় নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।