দেশের সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। তবে দেশের বাইরে অবস্থান করায় এতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কিন্তু শায়খ আহমাদুল্লাহ না থাকতে পারলেও তাঁর পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনাসহ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়ে নিজের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবানার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণকারী একটি সংবিধান আমাদের প্রত্যাশা। যেখানে আমাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রতিফলিত হবে।
তিনি লেখেন, ইতোমধ্যে সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছি। দেশের বাইরে অবস্থান করায় উক্ত সভায় উপস্থিত হতে না পারলেও লিখিত প্রস্তাবনাসহ আমার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আশা করি, জাতীয় জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন। কমিশনের সদস্যরা ইতোমধ্যে অংশীজনদের মতামত ও প্রস্তাব নেওয়া শুরু করেছেন। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
পোস্টের প্রথম কমেন্টে তিনি লিখেছেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় তারা বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।
১. সংবিধানে এ দেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধবোধ প্রতিফলিত হতে হবে। সংবিধানে এ রকম কোনো ধারা-উপধারা সংযোজন করা যাবে না এবং থাকলে অপসারণ করতে হবে, যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি।
২. সংবিধানের শুরুতে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজের ভিত্তি’ এই বাক্য পুনঃসংযোজন করতে হবে, যা বিগত সরকার সংবিধান থেকে অপসারণ করেছে।
৩. সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের বিলোপ করতে হবে। কারণ এটি এ দেশের মানুষের চিরায়তের মূল্যবোধের বিরোধী।
৪. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
আশা করি, সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন।