আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার সাংবাদিক মোঃ নজরুল ইসলামকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রান বাঁচাতে থানায় অভিযোগের ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশের ভুমিকা অদৃশ্য। এঘটনায় সাংবাদিক সহ সচেতনমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, গত ৩১ আগস্ট সকালে সাংবাদিক নজরুল ইসলামের আমতলী উপজেলা আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সোনাখালী গ্রামের বসত বাড়িতে ঢুকে প্রতিবেশী কুদ্দুস মোল্লার ছেলে কাইয়ুম মোল্লা সাংবাদিক নজরুলের বাবা, মা’ ও বড় বোনকে অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ-সহ প্রাননাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি সাংবাদিক নজরুল এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে তারা সমাধানের আশ্বাস দেয় এবং তাদের সমাধানের অপেক্ষায় থাকে। সমাধানের অপেক্ষায় থাকলেও ফের কাইয়ুম মোল্লার আপন ছোট ভাই আতিক হাসান (আইয়ুব) মোল্লা গত ৩’রা সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নজরুল মাতুব্বরের দোকানের সামনে সাংবাদিক নজরুলের উপরে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালায় । ঘটনার সময় নজরুল ইসলাম গোপনে হামলার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আপলোড করেন। বিষয়টি আমতলী উপজেলা সাংবাদিকদের দৃষ্টি গোচরে আসলে তৎক্ষনাৎ থানা পুলিশের সহযোগিতায় নজরুলকে উদ্ধার করে বলে থানা সূত্রে জানাযায় ।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম ঐ দিন রাতেই তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
নজরুল ইসলাম জানান, কাইয়ুম মোল্লার শালিকার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদের সকল তথ্য প্রদানকরি সন্দেহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যার হুমকি।
তিনি আরও জানান, ঘটনার ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত কাইয়ুম মোল্লার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি থানা পুলিশ। বিষয়টি আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদকে অবহিত করেছি।
বর্তমানে কাইয়ুম মোল্লার আতংকে রয়েছেন নজরুলসহ গোটা পরিবার। যে কোনো মুহূর্ত ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
এ ব্যাপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম হাওলাদার জানান,
তদন্ত চলছে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।