দেশের মানুষ যাতে কম খরচে হজে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার করছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা মাওলানা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ জন্য আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। স্বাধীনতার আগে ও পরে এদেশের মানুষ জাহাজে করে হজে যেতেন। এই উদ্যোগ নিতে আমারও চেষ্টা করছে। এতে সৌদি সরকারের ও সম্মতি আছে। ইতিমধ্যে জাহাজ কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুরের শিবচরের জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসায় সীরাতুন্নবী মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজে করে হজে পাঠানোর আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বছর আমরা জাহাজে পাঠাতে পারি কি না সেই চেষ্টা করবো। অন্তত আমরা একটা ডোর অপেন করে দিতে চাই। এ দেশের মানুষ যাতে কম খরচে হজে করতে পারে।
হাজীদের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে সৌদি সরকার আন্তরিক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার আপাতত দুটি প্যাকেজ চালু করবো। স্বল্প খরচে কাবা শরীফ এবং মদিনা শরীফ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং আরেকটা একটু দূরে। হাজিরা পায়ে হেঁটেও যেন আসতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশ বিমানে খরচ বেশি। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করছি, যাতে খরচ কমানো যায়। আমরা আশাবাদী, হজ প্যাকেজগুলো সাশ্রয়ী করতে পারবো।
কওমী মাদ্রাসার সনদকে কীভাবে কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কওমী মাদরাসা থেকে পাওয়া সনদ বিগত সরকার এমএ (মাস্টার্স) মান দিয়েছে। এবার আমরা যেটা করবো, মাদ্রাসার হুজুরদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সনদ কোন কোন ফিল্ডে কাজে লাগানো যায়, যেমন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা যদি তাদের ঢুকাতে পারি,তাহলে কওমী মাদ্রাসার সনদ পাওয়া আলেমগণ তাদের খেদমত করতে পারবেন।
দুর্গাপূজা সম্পর্কে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দুর্গাপূজার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর আমরা পূজার জন্য চার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। মন্দির, মণ্ডপ এবং অস্বচ্ছল মন্ডপে এই অর্থ যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে মিটিং করেছি।