বগুড়ার আদমদীঘিতে হিলমেট ও মাস্ক বাহিনীর হামলায় আব্দুর রশিদ (৬০) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনা
ঘটিয়ে পালানোর সময় বিহিগ্রাম বাজারে জনতা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ হিলমেট
বাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করে আদমদীঘি থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে। শনিবার (২
ডিসেস্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদমদীঘির বাহাদুরপুর গ্রামে আব্দুর রশিদের বাড়ির পাশে এ
ঘটনাটি ঘটেছে। পরে জনতা আব্দুল রশিদকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর
রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপজেলার চঁাপাপুর ইউপির বাহাদুরপুর
গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নওগঁা জেলার আত্রাই উপজেলার
বড়োনায় গ্রামের আব্দুর রহমান মন্ডলের ছেলে হাফিজ মন্ডল (৪৫) ও পর নওগঁার ফারুক হোসেনের
ছেলে শাহানুর হোসেন (২১)। সম্প্রতি রানীনগর উপজেলার পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল
ইসলাম মাস্টারকে যে কায়দায় হামলা করা হয়েছিল ঠিক একটি সুত্রে আব্দুর রশিদের উপড় এই হামলা
হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আদমদীঘির বাহাদুরপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ
প্রতিদিনের মতো বাহাদুরপুর গ্রামের পাশে তার মাছচাষ পুকুর দেখভাল করছিল। এসময় ৬/৭ জনের
একদল হিলমেট ও মাক্স পড়া দুবর্ৃত্ত ৩/৪ টি মোটরসাইকেল যোগে বাহাদুরপুর গ্রামে আব্দুর
রশিদের বাড়ির পাশে গিয়ে আব্দুর রশিদকে ধালালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বর জখম করে হত্যার
চেষ্টা করে তাকে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। হামলাকারিরা বিহিগ্রাম বাজার হয়ে পালানোর
সময় স্থানীয় জনতা একটি পালসার মোটরসাইকেলসহ দুই হামলাকারিকে আটক করলেও অপর
একটি পালসার মোটরসাইকেল ফেলে রেখে তিন হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। চঁাপাপুর ইউপির ওই
ওয়ার্ড সদস্য হিটলু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় তার পরিবারের সাথে
কথা বলা সম্ভব হয়নি। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম গ্রেফতার বিষয়
নিশ্চিত করে জানান, তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের
প্রস্ততি চলছে।