বেনাপোলে ইজিবাইকচালক সজীব গাজি (১৯) হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এলআইসি টিম। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য কেনাবেচার টাকাপয়সা লেন দেনা পাওনাকে কেন্দ্র করে শক্রতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গাঁজা সেবনের কথা বলে বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গার ছোকর খালের পাশে নিয়ে চাকু দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে যায় ঘাতকরা।
আসামিদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক, হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু, রক্তমাখা গেঞ্জি ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলো- বেনাপোল পোর্ট থানার গয়ড়া গ্রামের লিটন আলির ছেলে শামিম হোসেন (২০), বড়আঁচড়া গ্রামের সওদাগর আলির ছেলে আশরাফুল আলম রাব্বি (১৯), একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আজম হোসেন (২০) ও শার্শা থানার রাড়িপুকুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর কবির (৩০)।
যশোর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের দিকনির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে খড়িডাঙ্গা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে সজিব নামে এক ইজিবাইক চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় যশোর জেলার পুলিশ সুপার গোয়েন্দা শাখার ওপর তদন্তের ভার ন্যস্ত করেন। ডিবির এসআই মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম তদন্তে নেমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত শামীম ও রাব্বিকে বেনাপোল বল ফিল্ড পৌর বিয়ে বাড়ী এলাকা হতে হত্যাকাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকুসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুসারে নিহতের কাছ থেকে নেওয়া ইজিবাইক বিক্রির সহযোগিতায় জড়িত আরও দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ইজিবাইকটি শার্শা বাগআঁচড়া ময়ুরী সিনেমা হলের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়।