বছর শুরুর দিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ে গ্যাস না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। কখনও ভোরে আবার কখনও গভীর রাতে গ্যাস আসে, থাকে এক দেড় ঘণ্টা। রান্নাঘরের জরুরি কাজ সারতে নগরবাসীকে গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। অপচয় হচ্ছে সময়।
রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী, দক্ষিণ বনশ্রী, গোড়ান, বাসাবো, পূর্ব মাদারটেক, সিপাহিবাগ, মুগদা, মান্ডা, আহমদবাগ, কদমতলা, মানিকনগর, শাজাহানপুর, খিলগাঁও, ধোলাইখাল, কাঁঠালবাগান, গ্রীনরোড, হাতিরপুল, নারিন্দা, সূত্রাপুর, পুরান ঢাকার বি কে গাঙ্গুলী লেন, গণকটুলী, নাজিরা বাজারসহ রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকার বাসাবাড়িতে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, টানা কয়েকদিন গ্যাস না থাকায় ইট বসিয়ে কাঠ পুড়িয়ে জরুরি রান্না সারছেন এলাকার বাসিন্দাদের কেউ কেউ। তাদের মধ্যে বাধ্য হয়ে অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস কিনছেন। কেউ রান্না করছেন অবৈধ ইলেক্ট্রিক হিটারে, কেউ আবার রান্না বসাচ্ছেন তেলের চুলায়। এতে বাড়তি অর্থ ও শ্রম যাচ্ছে নগরবাসীর।
ভুক্তভোগীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে অল্প গ্যাস আসে। তাও স্থায়ী হয় এক দেড় ঘণ্টা। গ্যাস না থাকলেও সময়মতো তাদের গুণতে হয় বিল। সকালে বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার সময়ে তারা ঠিকমতো খেতে পারছে না। বাইরের খাবার খেয়ে তাদের সন্তানেরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলেও জানান তারা।
এদিকে, ঘরে রান্নার কাজে ব্যাঘাত ঘটায় চাপ বেড়েছে এসব জায়গার রেস্টুরেন্টগুলোতে। তবে এতে তারা খুব বেশি স্বস্তি পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ জানান, গ্যাস শিল্প, বিদ্যুৎ, সার, বাসাবাড়ি এবং সিএনজি তে সরবরাহ করা হয়। গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এর একটি প্রভাব বাসাবাড়ির উপর পড়েছে।
তিনি আরও জানান, তিতাসের একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ৭২ ঘণ্টা বন্ধ বন্ধ ছিলো। এর প্রভাবও এখানে পড়েছে। এ ছাড়াও শীতকালে গ্যাসের চাপ একটু কম থাকে বলেও জানান তিতাসের এই কর্মকর্তা।