মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে শুদ্ধি অভিযান প্রক্রিয়ায় আঃলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি দেয়ার দাবিতে  ঐক্যবদ্ধ তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতাগণ

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

হীমেল মিত্র অপু,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

 

 

ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীরা দাবী তুলেছেন, অতীতের ন্যায় যারা দলীয় একক ক্ষমতা এক্সারসাইজ করে টেন্ডারবাজি, জমিদখল, নিয়োগ -বাণিজ্য এমনকি সংগঠনকে পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায় দখলে নিয়ে শতশত কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন তারা এবং স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার পরিবারের সদস্যরা আসন্ন জেলা আঃলীগের কমিটিতে যেনো স্থান না পায়।

 

বিশেষ করে আঃলীগ সরকারের গত সাড়ে ১০ বছরে দলীয় পদপদবী ব্যবহার করে যারা ক্ষমতার রামরাজত্ব কায়েম করেছে, তারা এখন জনশুন্য এককথায় মাকাল ফল। গ্রামের বিচার শালিশ থেকে শুরু করে সরকারের সকল দপ্তরে ছিলো তাদের ক্ষমতার প্রভাব। তাদের ক্ষমতার দাপটে দলীয় নেতাকর্মী তো দুরের কথা সরকারি চাকুরীজীবিরা ছিলো ভীতসন্ত্রস্ত।

 

সরকারের সুনাম ধ্বংস করে, বিত্তশালী বনে যাওয়া সেই নেতারা এখন অবৈধ সম্পদ রক্ষায় জেলা আঃলীগের পদসহ সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের লোকদের নিয়ে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে হোক না কেনো তাদের পদ চাই চাই।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের একের পর এক মেগা প্রকল্পের কারণে মন্দার তিলক মুছে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যখন এগিয়ে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম। এতে করে জেলার সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল হলেও

এসব দলীয় নেতাকর্মীর নানান অপকর্মের কারণে সরকারের সফলতা এখন ম্লান হয়ে পড়েছে। অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে হামলা – মামলা, ভয়ভীতি ও শারীরিক নির্যাতন। বাধ্য হয়ে ঘরে ঢুকে পড়া আঃলীগের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা ঘরে বসেই ওইসব ক্ষমতাশালী নেতাদের নানান অনিয়ম, দূর্ণীতির খবর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন। সরকারি সব সংস্থার গোপনীয় প্রতিবেদন ও ত্যাগী নেতাদের প্রমাণিত অভিযোগের কারণে গত ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে জেলা আঃলীগের অনুষ্ঠিত সম্মেলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জুকে নির্বাচিত করা হয়। এতে আশায় বুক বাধে ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

 

টানেলের শেষপ্রান্তে আশার আলোর ঝলকে ঘরথেকে রাজপথে নামেন ত্যাগী, বঞ্চিত, অবহেলিত শেখ হাসিনা প্রেমিক নেতাকর্মীরা। নানান পেশার পেশাজীবিরাও আশান্বিত হন এবার জেলা আঃলীগ হবে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও জনবান্ধব।

 

করোনা ভাইরাস ও বন্যায় জেলা আঃলীগ সাধারণ সম্পাদকের মানবসেবা দেখে জনমনে বাস্তবতা ফিরে আসে ।

 

জেলা আঃলীগের তরুণ নেতা সালাউদ্দীন রুবেল জানান, কেন্দ্রীয় আঃলীগের সম্পাদকীয় মন্ডলীর সভায় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা দলকে সুসংগঠিত করতে সম্মেলন ও পুর্নাঙ্গ জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশনার পরে সেই বিতর্কিত নেতারা মরিয়া হয়ে উঠেছে পদ পদবি নিতে।

এরই প্রেক্ষিতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে এতদিনের পদ পদবী ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা সেই বিত্তশালী নেতারা।

 

সাবেক ছাত্রলীগ ও পৌর আঃলীগের ত্যাগী নেতা নবারুণ চক্রবর্তী মুন বলেন,

সম্পদ রক্ষায় এখন জেলা উপজেলা আঃলীগের সেইসব নেতারা হয়েছেন জোটবদ্ধ। যেভাবেই হোক না কেন নিতে হবে কমিটির পদ পদবী। সম্পদশালী ওইসব নেতাদের উচ্ছাসে আবারো হতাশ ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

 

কমিটি গঠনে জেলা আওয়ামীলীগের বিগত কমিটির ক্ষমতাধর নেতাদের শুরু হওয়া দৌড়ঝাঁপ ও উচ্ছাসের কারণে নিরাশ হয়েছেন তৃণমূলের আঃলীগ নেতাকর্মীরা।

 

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আশংকিত এই ভেবে যে, আবারো তাদের নিয়ন্ত্রণে জেলা কমিটি গঠন করা হলে দলীয় কোন্দল ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে দলটির নেতাকর্মীরা। বিভক্তি দেখা দিবে সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে।

 

শেখ হাসিনার স্বপ্নিল স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রকৃত ত্যাগী, বঞ্চিত, অবহেলিত মুখ ফিরিয়ে থাকা নেতাকর্মী সমন্বয়ে পুর্নাঙ্গ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করার দাবী জানিয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

 

কমিটি গঠনে বিলম্বের কারণ হিসেবে করোনা মহামারীর কথা উল্লেখ করে জেলা আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জু বলেন, ত্যাগী, বঞ্চিত, সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতারাই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবেন। প্রবীণদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। সুযোগ পাবে সম্ভাবনাময় তরুণ ও সাবেগ ছাত্রলীগ নেতারাও।

 

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102