কয়রায় অবরুদ্ধ ছয়টি পরিবারের যাতায়াতের স্থান চিহ্নিত করেন এসিল্যান্ড।
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চৌকুনি গ্রামে চার মাস ধরে অবরুদ্ধ ছয়টি পরিবার কে নির্মিত ইটের দেয়াল ও টয়লেট স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাতায়াতের জন্য স্থান চিহ্নিত করেছেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৯/৯/২৩) সকাল ১০ ঘটিকার সময় কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চৌকুনী গ্রামে টয়লেট ও ইটের দেয়ালের স্থাপনা উচ্ছেদ করে চলাচলের স্থান চিহ্নিত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম.তারিক-উজ-জামান।
উচ্ছেদ অভিযান থেকে জানা যায় গত চার মাস ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় চৌকুণী গ্রামে শফিকুল ইসলাম তাহার প্রতিবেশীদের ছয়টি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে ইটের স্থাপনা ও টয়লেট নির্মাণ করেন। কয়রা সাংবাদিক ফোরাম সংবাদ প্রচার করার পর অবরুদ্ধ ছয়টি পরিবারকে উদ্ধার করার জন্য কোর্টের অর্ডার নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম তারিক-উজ-জামান অভিযান পরিচালনা করেন। এবং সেখান থেকে তৈরি করা ইটের দেয়াল ও টয়লেট সামগ্রী ভেঙে ছয়টি পরিবারের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন। এবং সীমানা চৌহদ্দি নির্ধারণের জন্য ইং ২৮/৯/২৩ রোজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
তাহারি ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১০ ঘটিকার সময় বেদখল হওয়া সরকারি সম্পত্তি স্থান চিহ্নিত করার অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি,এম তারিক-উজ-জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ডের মেম্বার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ। পুলিশ প্রশাসন সহ সাংবাদিক এলাকার সর্ব সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সকলের সহযোগিতায় সীমানা চৌদি নির্ধারণ করে বেদখল হওয়া সরকারি সম্পত্তির স্থান নির্ধারণ করে ছয়টি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা চিহ্নিত করা হয়। এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে স্থান নির্ধারণ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল গফুর বলেন,আমার জন্মের পর হতে দেখেছি এই পথ দিয়ে ৬টি পরিবার চলাচল করতো ।আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও চেয়ারম্যান সাহেব মিলে বসা বসি করে একটি শালিশ নামাও দিয়েছিলাম কিন্তু তারা মানে নাই। কয়েক মাস পূর্বে ইট দিয়ে দেয়াল তৈরি করে দেয়। সেখানে টয়লেট নির্মাণ করলে পরিবারগুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন আজ এলাকার মানুষের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এরকম একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যে ছয়টি পরিবারকে উদ্ধার করে তাদের বেদখল হওয়া রাস্তা তারা ফিরে পেয়েছে।
মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন,দীর্ঘ দিন ধরে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শফিকুল ইসলাম গাজী তিনি কোন কিছু মানেন না। কারোর কথা তোয়াক্কা করেন না। শালীশ বিচার কোন কিছুই তিনি পরোয়া করেন না। দীর্ঘ চার মাস পরে ছয়টি পরিবার অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করে বেদখল হাওয়া পথ স্থান চিহ্নিত করায় এলাকাবাসীর ভিতরে আজ খুশির জোয়ার বইছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম.তারিক-উজ-জামান বলেন ভূমিদস্যদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এবং ভূমি দস্যদের বিরুদ্ধে সর্বসাধারণের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। ভূমি দস্যূদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।