মুন্সীগঞ্জে প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের অধ্যনগর গ্রামে ৩৫ বছরের প্রতিবন্ধী নারীকে একই গ্রামের সিয়াম সিমান্ত (২৪) একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে সত্যতা পাওয়া গেছে। সিয়াম পেশায় একজন সিএনজি চালক । ধর্ষণের ঘটনায় গত ৯ সেপ্টম্বর শনিবার রাত সাড়ে আটঘটিকায় প্রতিবন্ধীর নারীর বাড়িতে বিচার করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৩নং ওয়ার্ড সদস্য খোরশেদ আলম তালুকদার। ধর্ষক সিয়াম সিমান্ত তাহার বিচারের রায় পাওয়ার পরেই পিতা আমজাদের কথা মতোই এলাকা হতে সরে পরে। সাংবাদিকদের কাছে এলাকার লোকজন বিষয়টি জানান। পরে বিষয়টি রাত ১২ টার দিকে টঙ্গীবাড়ী ইউএনকে জানানো হয়। পরে থানা থেকে ভিকটিমের বাড়ীতে পুলিশ পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একটি প্রতিবন্ধী নারীকে একাধিকবার ধর্ষণের পর ওয়ার্ড সদস্যের এমন বিচারে এলাকাবাসীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এলাকাবাসী আরো দাবী করেন, এই ধরনের ঘৃণিত অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। নতুবা সমাজে একের পর এক অপরাধের ঘটনা ঘটেই চলবে। অপরদিকে ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাতিজি বলেন, গত ০৪/০৯/২০২৩ইং তারিখ সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে সাত টার দিকে বিদ্যুৎ ছিল না। তখনই ঘরে এবং ঘরের আশে পাশে আমার ফুফুকে না পেয়ে একটু পুর্ব দিকে এক বাড়ি পরে একটি দেয়ালের চিপায় আমার ফুফুর উপস্থিতি লক্ষ করি। ঐ সময় আমার হাতে থাকা মোবাইললের আলোতে ফুফুকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পাই। ঠিক তখনই আমার পিছনে আমার দাদি ধর্ষক সিয়াম সিমান্তকে পাশের দেয়াল টপকিয়ে যেতে দেখে। পরবর্তীতে সিয়াম সিমান্তর মায়ের কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়। পরবর্তীতে আমার ফুফুর সাথেও কথা বললে তার সাথে ৬/৭ বার এমন হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয় আব্দুল্লাহপুর ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার খোরশেদ আলম তালুকদার বলেন, মেয়েটি যেহেতু আমার ওয়ার্ডের এবং প্রতিবন্ধী। তাই আমি নিজে উপস্থিত থেকে কাউকে না জানিয়ে সম্মান রক্ষা করতে জুড়িবোর্ডের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৫০টি বেত্রাঘাত দেওয়ার হুকুম দেই। আমাদের জুড়ি বোর্ডে ছিলেন কামাল বেপারী, মোসলেম, সুমন, মোঃ আওলাদ হোসেন পুস্তি, জাহাঙ্গীর ও মনির।
৫০টি বেত্রাঘাত প্রয়োগ করার বিষয়টি খোরশেদ আলম অস্বীকার করেন। তবে সিয়াম সিমান্তর বাবা ২/৪ টা চড় থাপ্পর দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করান। ৭০ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরে দিবে। ওয়ার্ড সদস্য খোরশেদ আলমকে প্রশ্ন করা হয় বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, থানা পুলিশকে জানিয়েছেন কিনা? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছোট খাটো বিষয় আমরাই বিচার আচার করতে পারি।
এ বিষয়ে টংগিবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজীব খান বলেন, তিনি রাতেই বিষয়টি অবগত হয়েছেন এবং রাতেই পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যায়ক্রমে কার্যকর করা হবে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর রিপন বিপিএএ বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম এবং আমি বিষয়টি যাচাই পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।