বাগেরহাট সদরের সুগন্ধিতে যুবকের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া।
বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের আওতাধীন সুগন্ধি শেখপাড়া গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মৃত শেখ জাকির হোসেনের ছোট ছেলে শেখ সাব্বির হোসেন শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর।
তিনি গত কয়েক মাস যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। মাঝে কিছুটা অবনতি হলে ডাক্তারেরা তাকে রিলিজ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। হঠাৎ কয়েকদিন ধরে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং গত রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তার এমন অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে তিনি ছেলে-মেয়েদেরকে প্রাইভেট পড়াতেন। অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন শেখ সাব্বির হোসেন। তিনি পড়ালেখা শেষ করে চাকরির জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, অনেক জায়গায় চাকরির পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। সর্বশেষ দুইটি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।
অত্যন্ত নম্র-ভদ্র হওয়ায় এলাকার সব মানুষের কাছে প্রিয় পাত্র ছিলেন শেখ সাব্বির হোসেন। তিনি দেখা হলেন সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। তার কোচিং এর ছেলে মেয়েদের সাথে সে বন্ধুর মত ব্যবহার করতেন।
একমাত্র বড় ভাই দাউদ শেখ ও ভাবির আদরে বেড়ে উঠেছেন শেখ সাব্বির হোসেন। তার অকাল মৃত্যুতে এই পরিবারটি গভীর শোকে আচ্ছাদিত হয়েছেন।
ইউপি সদস্য ঢালী জাহিদুর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ অবস্থায় খুলনা আড়াইশো বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে তাকে বাড়িতে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয় এবং গত রাত ৩টায় বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাব্বির অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলো, শিক্ষিত ছিলো। একইসঙ্গে দুটি সরকারি চাকরি হয়েছিল একটি স্কুল মাস্টারি ও অন্যটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সে মাস্টারি চাকরির জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছিলো, জয়েন্ট করার কিছুদিন আগেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সাংবাদিক আরিফ ঢালী জানান, অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলো সাব্বির, আমাকে খুব ভালবাসতো ও সম্মান করতো। তার অকালে চলে যাওয়াটা মেনে নিতেও খুব কষ্ট হচ্ছে। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত বাসী করেন।
রবিবার (৬ই আগস্ট) বাদ জোহর সুগন্ধি স্কুল মাঠে মরহুমের নামাজের জানাজা শেষে, তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।