তানজিলা আক্তার রুবি, নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার আটপাড়ায় উপজেলায় প্রদর্শনী খামারের গভীর নলকূপের মেশিনের যন্ত্রাংশ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তেলিগাতী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত আ:খালেক এর ছেলে আ: ওয়াদুদের বিরুদ্ধে।
আটপাড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার বরাবরে এবং অনুলিপি তে জেলা প্রশাসক, আটপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান, ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা গত ১২/৮/২০২০/তারিখে এক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ সব তথ্য জানা যায় ৫ নং তেলিগাতী ইউনিয়ন ও ১ নং স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী আমবাগান নামক স্থানে বিগত এরশাদ সরকারের আমলে প্রতি উপজেলায় একটি প্রদর্শনী খামার চালু হয়। খামারে একটি গভীর নলকূপ ও একটি পাওয়ার টিলার সরকারিভাবে প্রদান করা হয়। গভীর নলকূপ টি কিছুদিন পরিচালিত হওয়ার পর সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে শ্রীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াদুদ কে পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করা হয় l শ্রীরামপুরের নায়েব আলীর ছেলে ফুল মিয়া , শান্তু তালুকদারের দুলাল, চমক আলীর ছেলে দিল ইসলাম , জুলু মিয়া সহ এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত আ: ওয়াদুদ ২০১৯ সালে গভীর নলকূপ মেরামত করার নামে নলকূপ ও মেশিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আত্মসাৎ করে রাতের আঁধারে চুরি করে বিক্রি করেন। যা তিনি উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষে অনুমতি ব্যতিরেকে বিক্রি করে দেন। তার বিক্রয় কৃত সরকারি সম্পদের আনুমানিক মূল্য ১০,০০০০০ (দশ লক্ষ টাকা) এলাকার কৃষি কাজের শহীদ জড়িত সুবিধাভোগী কৃষকগণ কৃষি অফিসকে ওয়াদুদের মেশিন আত্মসাতের বিষয়ে জানাতে চাইলে অভিযুক্ত বিবাদী ভয় ভীতি দেখায়।
সরজমিন গেলে আরও জানা যায় , ২০০১ সালে তেলিগাতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান গণি চান মিয়ার কাছে নলকূপটি চুরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে কমিটির সকলে তার কাছে রাখার জন্য বলে এখন সাবেক চেয়ারম্যান এর কাছেই আছে।তবে উনি কি করেছে তা জানে না। এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান গণি চান মিয়া সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানায়, তা সম্পূন মিথ্যে আমার কাছে তারা কোন কিছু রাখেনি তাছাড়া আমি কোন ভাবেই এর সাথে যুক্ত নয়। তবে প্রথমে যে নলকূপ দেওয়া হয় তা জ্বলে যায় এর পরে বি আরডিবি থেকে মোটর দিয়ে ছিলো। তিনি আরও বলেন, আঃ ওয়াদুদ এর ধান মিলের সামনে পাইব,মেশিনসহ আরও কিছু যন্ত্রপাতি পরে থাকতে দেখে এবিষয়ে জানতে চায়লে তালবাহানা করে এবং মেশিন নতুন আনবে বলে জানায় ।
অভিযুক্ত মোঃ আঃ ওয়াদুদ জানায়, ২০১০-১৭ পযর্ন্ত দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে সাবমারসিবল বিক্রির কথা স্বীকার করলেও এবং গভীর নলকূপসহ বিক্রি অস্বীকার করেন।
এলাকার কৃষকরা বলেন, ২ বছর ধরে মেশিন বন্ধ থাকায় জমিতে ফসল ফলাতে পারছে না। এতে করে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তাই আইনের আওতায় এনে এর দ্রুত বিচার দাবি জানা।
মেশিন আত্মসাতের বিষয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা সরকারি সম্পদ আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে আমবাগান গভীর নলকূপ সমিতির সদস্য ও অভিযোগকারী বিদ্যা মিয়া বলেন এলাকায় কৃষি কাজে পানি সেচের জন্য একমাত্র গভীর নলকূপ টি পুনরায় চালু হলে কৃষি কাজে ফলন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ এর বিষয়ে অভিযুক্ত কৃষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
এএসবিডি/আরএইচএস